1. sm.khakon@gmail.com : bkantho :
তিন ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেল ব্রাজিল - বাংলা কণ্ঠ নিউজ
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১১:১৮ অপরাহ্ন

তিন ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেল ব্রাজিল

বাংলা কণ্ঠ ডেস্ক
  • রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০২৪
  • ৭০ বার পড়া হয়েছে
তিন ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেল ব্রাজিল

নেইমার ছিলেন না দলে। থেকেও কিছু করতে পারেননি ভিনিসিউস, রদ্রিগো, রাফিনহারা। চলতে থাকে সুযোগ মিসের মহড়া। যখন পয়েন্ট হারানোর শঙ্কা, তখন ত্রাতা হয়ে দাঁড়ান ১৭ বছর বয়সী এনদ্রিক। এই বিস্ময় বালকের গোলে বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম থেকে জয় নিয়ে ফেরে ব্রাজিল।

শনিবার ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয় ব্রাজিল। যেখানে এন্দরিকের একমাত্র গোলে স্বাগতিকদের ০-১ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে নেমে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন রিয়াল মাদ্রিদে নাম লেখানো এই তরুণ।

২০০৯ সালের পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটাই ব্রাজিলের প্রথম জয়। ১৫ বছরের ব্যবধানে যেই জয়টা এলো দরিভাল জুনিয়রের অধীনে। ভারপ্রাপ্ত কোচদের অধীনে টানা তিন ম্যাচ হারের পর নতুন কোচের অধীনে প্রথম ম্যাচেই জয় তুলে নিল ব্রাজিল। যা আশার পালে হাওয়া লাগিয়েছে ব্রাজিল সমর্থকদের।

অথচ এ ম্যাচে ইংল্যান্ডকেই ফেবারিট ভাবা হচ্ছিল। ইংলিশরা ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে ব্রাজিলিয়ানদের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়ে। আবার সর্বশেষ ১০ ম্যাচেও ছিল অপরাজিত, খেলাটাও তাদের ঘরের মাঠে। এর সাথে বাড়তি সুবিধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ব্রাজিলের মূল দলের অন্তত ৬ খেলোয়াড়ের চোট। নেইমারের সাথে ছিলেন সেরা দুই গোলরক্ষক এলিসন ও এডারসনও।

তবে অপেক্ষাকৃত তরুণ দল নিয়েও ইংলিশ রক্ষণভাগের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছে ব্রাজিল। মাঠের খেলা স্বাগতিকদের সাথে সেয়ানে সেয়ানে টক্কর দিয়েছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ভাগ্য ভালো থাকলে অন্তত হালিখানেক গোল পেতো তারা।

নবম মিনিটেই প্রথম গোলের সুযোগ আদায় করে ব্রাজিল। ডি বক্সের বেশ বাইরে থেকে নেয়া শট লক্ষুএ রাখতে পারেননি রদ্রিগো। ১২ মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও সুযোগ হাতছাড়া করেন ভিনিসিউস। চার মিনিট পর তিনি ফের হতাশাগ্রস্থ করেন দলকে।

এর মাঝে ইংল্যান্ড দলকে নেতৃত্ব দিতে নামা কাইল ওয়াকারও ম্যাচের ২০ মিনিটে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন।

এর পরপরই টানা দুটো ফ্রি কিক আদায় করে নেয় ইংল্যান্ড। তবে তা কাজে লাগেনি। ৩২ মিনিটে গর্ডন ও ওয়াটকিন্সের সমন্বয়ে ফের দারুণ আক্রমণ শানায় ইংল্যান্ড। তবে তা প্রতিহত করেন বেরালদো।

বিপরীতে ৩৫ মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই গিয়েছিল ব্রাজিল। ডি-বক্সের ভেতর থেকে নেয়া পাকেতার শট শেষ পর্যন্ত গোলপোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। খানিকবাদে রাফিনহার শটও গোলপোস্টের গা ঘেঁষে চলে যায়। ফলে প্রথমার্ধে কোনো গোল আসেনি।

দ্বিতীয়ার্ধে খানিকটা আগ্রাসী ছিল ইংল্যান্ড। বেশ কয়েকটি আক্রমণ চালায় ব্রাজিল দূর্গে। তবে তাতে কাজ হয়নি। ৬১ মিনিটে বল পেয়ে হঠাৎ শট নিয়েছিলেন বেলিংহ্যাম। তবে তা উঠে যায় আকাশে।

গোল মিসের প্রতিযোগিতায় যেন রুলস ভেঙে বসে ব্রাজিল। ম্যাচজুড়ে এতগুলো সুযোগ হাতছাড়ার মাঝেই আদায় করে নেয় কাঙ্ক্ষিত গোল। ৮০ মিনিটে ভিনিউসের দেয়া বল এক ইংলিশ ফুটবলারের গা ছুঁয়ে চলে যায় এনদ্রিকের কাছে। যা আলতো টোকায় জালে পাঠান খানিক আগেই বদলি নামা এই ফুটবলার।

ব্রাজিলের জার্সিতে এনদ্রিকের প্রথম গোলের পর যেন পাগল হয়ে যায় ইংল্যান্ড। মরিয়া হয়ে ওঠে গোলের জন্যে। একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে ব্রাজিলের রক্ষণদূর্গে। কিন্তু কিছুতেই গোলের দেখা পায়নি তারা। ফলে ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল।

সামাজিক মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর
Developer By Zorex Zira

Designed by: Sylhet Host BD