১০ বছরের শিশু হত্যাকান্ডের ঘটনায় সাড়ে ৩মাসেও কোনো আসামীকে গ্রেফতার না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহত শিশু পাবেল মিয়ার মা মিটন বিবি। গত ১৭ জুলাই লাখাই উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের শিশু পাবেল মিয়াকে হত্যা করা হয়। হত্যাকান্ডের ঘটনায় তেঘরিয়া গ্রামের তানভীর, আখতার হোসেন, নাজিম উদ্দিন, আবুল ফয়েজ, খায়রুল ইসলাম, মোকন মিয়া, খেঅকন মিয়া, শিপন মিয়া, বাহাউদ্দিনসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি এফআইআর করে লাখাই থানা পুলিশ।
এরপর সাড়ে ৩মাস অতিবাহিত হলেও কোনো আসামীকে গ্রেফতার না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহত পাবেল মিয়ার মাতা মিটন বিবি। হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে গতকাল শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে মিটন বিবি জানান- পাবেল মিয়ার বাবা শাহ আলম একজন শারিরিক প্রতিবন্দী মানুষ। সন্তানদের নিয়ে তাদের টানাপুড়েনের সংসার। আসামীরা এলাকায় অত্যান্ত প্রভাবশালী। আসামী ফয়েজ একজন হাতুরে ডাক্তার। চিকিৎসা নিতে আসা নারীদের সাথে সে অশালীণ আচরণ করে থাকে। এমন কোনো দৃশ্য শিশু পাবেল মিয়া দেখে ফেলায় পাবেল মিয়াকে খুন করার ষঢ়যন্ত্র করে ফয়েজ মিয়া ও তার লোকজন।
গত ১৭ জুলাই হত্যাকান্ডের কিছুক্ষন আগে বাড়ি থেকে পাবেল মিয়া ২০টাকা নিয়ে মজা কেনার জন্য আসামী তানভীরের দোকানে। ২০ টাকার মজা কিনতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি পাবেল। আমরা তার লাশ পেয়েছি। তানভীরের দোকানের সিড়িতেই পাবেল মিয়ার লাশ পাওয়া যায়। লাশও গোপন করার চেষ্টা করছিল আসামীরা। শিশু পাবেল মিয়ার শরীরের বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।
এমন একটি হত্যাকান্ডের ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার না করা পুলিশের ইচ্ছাকৃত ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি শিশু পাবেল মিয়া হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের আইজি, হবিগঞ্জ জেলা পুলিশের এসপিসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতা কামনা করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে নিহত শিশুর পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply