হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে ফয়েজ আহমদ নামের এক ব্যবসায়ী যুবক অপহরণের ৩ মাস অতিবাহিত হলেও এখনো উদ্ধার হয়নি, ছেলের সন্ধান পেতে মায়ের বুকফাটা আর্তনাদে যেন আকাশ, বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে৷ তিনি তার সন্তানের সন্ধান পেতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন৷
জানাযায়, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের জিয়াপুর গ্রামের মৃত আরজু মিয়ার ছেলে ব্যবসায়ী মোঃ ফয়েজ আহমদ (২৩) নামের যুবককে তারই বন্ধু একই এলাকার বাদে রায়ঘর গ্রামের আতা মিয়ার ছেলে, জাকির হোসেন (২৫) গত ৩০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার, সন্ধ্যা সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ী থেকে মার্কুলি বাজারে আসামী জাকির হোসেন এর বোনের বাড়ী বিয়ের অনুষ্ঠানে নিয়ে যাবার কথা বলে নিয়ে যায়।
এর পর থেকেই ফয়েজ আহমেদ নিখোঁজ জন৷ নিখোঁজের পর থেকেই তার বন্ধু জাকির মাঝেমধ্যে মোবাইল ফোনে কথা বলে আবার ফোন বন্ধ করে নানা অজুহাত দেখিয়ে গা ঢাকা দেয়৷ এদিকে অপহৃত ফয়েজের মাতা খাদেজা বেগম তার ছেলে উদ্ধারের জন্য গত ২৪ অক্টোবর ২০২২ ইং তারিখে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কগ-৫ আদালতে ফয়েজের বন্ধু জাকির সহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে গং আরো ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে উক্ত মামলাটি আমলে নিয়ে এফ,আই,আর গন্যে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন নবীগঞ্জ থানা পুলিশকে৷ মামলার আসামীরা হলেন, ফয়েজ আহমেদের বন্ধু ১। জাকির হোসেন (২৮), পিতা- আতাউর রহমান,
সাং- বাদে রায়ঘর, উপজেলা- নবীগঞ্জ, জেলা- হবিগঞ্জ। ২। সামছুল হক (৪২), পিতা- মৃত মজর উল্লা, সাং- নোয়াগাঁও, উপজেলা- বানিয়াচং, জেলা- হবিগঞ্জ। ৩। নিকেশ বৈষ্ণব, পিতা- জগিন্দ্র বৈষ্ণব, সাং- কবিরপুর, উপজেলা- বানিয়াচং, জেলা- হবিগঞ্জ। ও নিখোঁজ ফয়েজের মুক্তিপণ দাবী করে ৪০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া অপহরণকারী যুবক দিনাজপুর জেলার বিরল থানার আকড় গ্রামের সাইদুর রহমানের পুত্র মোঃ সুমন রানা( ৩৫) সহ গং ৩/৪ জন৷ ৷ এদিকে দীর্ঘ দিন পলাতক থাকার পর গত ২৮ নভেম্বর সোমবার মামলার ২নং আসামী বানিয়াচং থানার নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত মজর উল্লার পুত্র সামছুল হক (৩২), বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমল আদালত বাহুবল হবিগঞ্জে স্বেচ্ছায় হাজিরা দিলে বিজ্ঞ বিচারক জনাব আব্দুল হালিম, আসামীর জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন, পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালত হইতে অস্থায়ী জামিনে হাজত থেকে মুক্তি পায়৷
ফয়েজ আহমেদ অপহরণ মামলার আসামী ফয়েজের বন্ধু জাকির হোসেন সহ অন্যান্যরা দীর্ঘদিন ধরে পলাতক রয়েছেন৷ এতে অজানা আতংক বিরাজ করছে অপহৃতের পরিবারে৷
অপর দিকে মামলার এজাহারে ও অপহৃত ফয়েজের মাতা খাদেজা বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন তার ছেলেকে জাকির নামের যুবক তার আত্মীয়ের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে নিয়ে যাবার কথা বলে মার্কুলি নিয়ে অন্যান্য আসামীদের সহযোগিতায় তার ছেলেকে অপহরণ, অথবা ঘুম হত্যা করেছে৷ এর পর থেকেই জাকির সহ অন্যান্য আসামীরা গা ঢাকা দেয়,এর পূর্বে জাকিরের দেয়া তথ্যমতে মারকুলিতে পৌঁছে ফয়েজের বড় ভাই কয়েছ আলী ইমন সহ তার আত্মীয় স্বজনেরা ফয়েজের সন্ধানে সেখানে গেলে এক জোড়া জুতা ও মোটর সাইকেল উদ্ধার করেন বানিয়াচং থানা পুলিশের সহযোগিতায়৷
এ বিষয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন অপহৃত ফয়েজের পরিবার৷ এনিয়ে এলাকার সচেতন মহল ফয়েজ আহমেদ উদ্ধার সহ অপহরণের মোটিভ উদঘাটনে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সুদৃষ্টি কামনা করছেন৷
Leave a Reply