ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের মাঝিকাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযুদ্ধা মোঃ মোহন মিয়ার সনদের অভাবে ভাতা থেকে বঞ্চিত দুই ভাই মোঃ হাসান মিয়া ও মোঃ শাহিন মিয়া আকুতি জানান পিতার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির জন্য।
দুই ভাই পিতার মুক্তিযুদ্ধার সনদের জন্য দীর্ঘ দিন বিভিন্ন মুক্তিযুদ্ধা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ঘুরেও পাননি বলে জানান বর্তমান স্বাধীন বাঙলাদেশের সোনার হিরণ খ্যাত “মুক্তিযুদ্ধা সনদ”।
দশ বছর আগে বার্ধ্যকে মারা যাওয়া মোঃ মোহন মিয়া শত চেষ্টা করেও পাননি তার মুক্তিযুদ্ধা সনদ! ৩ পুত্র ও ২ কন্যা সন্তানের জনক বার্ধ্যক আর বয়সের ভারে নত মোহন মিয়ার পর বড় ছেলে মলাই মিয়াও চেষ্টা করেছেন দীর্ঘদিন। তিনিও আজ মৃত।
নিরক্ষর ও তদবির-লবিংহীন দুই ভাই মোঃ হাসান মিয়া ও মোঃ শাহিন মিয়াও এক রকম পরাজিত। অভাবের সংসার আর দৈনতায় তাদের কোন রকমে চলে।
স্থানীয় মুক্তিযুদ্ধা ও প্রবীন নেটিজেনদের কাছ থেকে জানা যায়, মোঃ মোহন মিয়া ছিলেন মুক্তিযুদ্ধাদের জন্য একজন অস্ত্র ও খাদ্য সংগ্রহক ও সরবরাহকারি। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বর্তমানস্থ নবীনগরের মুক্তিযুদ্ধাদের বিভিন্ন ক্যাম্পে ছুটে বেড়িয়েছেন।
মোঃ হাসান মিয়া জানান, আমার আব্বা এমপি সাবের (সাবেক এমপি মরহুম আব্দুল লতিফ) লগে লগে থাকতো, খাওন আর গুলির বস্তা লইয়া আটত। এমপি সাব বাইচা থাকলে কারো কাছে যাওন লাগত না। কিন্তু অহনও আমরা আব্বার সার্টিফিকেট পাইচি না। সব দালাল-বাটপার! কত জনরে হুনি ভুয়া অহন! অতচ আমার আব্বার সাটিফিকেটের লেইগ্যা গেলে ক পরে, পরে! আমরা আমরার আব্বার সনদ চাই।
মোঃ শাহিন জানান, আব্বা কইতো ইলা নবীনাগরের সব ক্যাম্পে গিয়া গিয়া খাওন আর অস্ত্র দিতো। আব্বা খাওন না দিলে না খাইয়া মরতে অইতো মুক্তিযুদ্ধারার! আব্বা আগে যদি বুজত তাইলে আব্বা অই সার্টিফেকট লইত। আব্বারে তো সবাই চিনতো। অহন তো কেউ পাত্তা অই দে না! টেহা অইলে অইতো! অহন মুক্তিযুদ্ধারা যেই সুবিধা ফা ইডা দ আব্বা বুজজে না। আমরা অহন কোন রহমে চলি। আমরার দাবি আমরার হক আমরারে যাতে দে সরকার।
Leave a Reply