তুমি যদি পরাস্ত না হতে
মানুষ হারিয়ে ফেলতো তার বিশ্বাস
অসহায়ের মতো নুয়ে পড়তো সততার গল্প
ঘরে ঘরে জন্ম হতো
লাখো লাখো হিংস্র পশু।
ভয়ে আতংকে ঘুঁটি ঘুঁটি পায়ে হেঁটে যেতো
কোন মানুষ
পেছন ফিরে তাকাতো বার বার
এই বুঝি তার শেষ দিন
মানুষ হয়ে বেঁচে থাকা মানুষগুলোর
মৃত্যুর সাথে লড়াই হতো প্রতিদিন।
তুমি যদি পরাস্ত না হতে
গল্পটার মোড় বদলে যেতো আরেক ধাপ ,
কতো জরিনা, সখিনাকে জিম্মি করে
এক একটি মেয়ের সর্বনাশের হিসেব কষতে প্রতিদিন।
তোমাদের জঘন্য নোংরা হাসিতে
ঘৃণায় থমকে যেতো পৃথিবী
এক মেয়েকে বাঁচাতে আরেক মেয়ের জানাজা পড়তে হতো কোন বাবার
সততা নামক যে ছায়াটা দাঁড়িয়ে আছে
পৃথিবীর বুকে
তাকে নিয়ে হাসতো সবাই
ব্যঙ্গ চিত্তে বলতো-
তোর গল্প শেষরে
তোর গল্প শেষ।
তুমি যদি পরাস্ত না হতে
গল্পটা শেষ হতো না কোনদিন
মিষ্টি একটি গল্প ছড়িয়ে পড়তো না পৃথিবীর বুকে
স্বস্তির নিশ্বাস বাতাসে উড়ে বেড়াতো না এক ঝাঁক আনন্দ নিয়ে
সূর্যটা উঁকি দিয়ে বলতো না –
সকাল হলো।
তোমাকে পরাস্ত করে ফিরলাম
চারিদিকে আলোর মিছিল
জানালার পর্দাটা সরিয়ে দিয়ে মৃদু হাসলাম
একটি স্বস্তির নিশ্বাস উপভোগ করলাম প্রাণ ভরে।
Leave a Reply