সব জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আজ মঙ্গলবারের (২০ আগস্ট) মধ্যে তাদের প্রত্যাহার করা হবে। এরপর নতুন করে নিয়োগ দেয়া হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।এ ইস্যুতে সোমবার (১৯ আগস্ট) রাতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের কক্ষে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে ৮৭৬ জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এর মধ্যে ৬০ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ৪৯৩ উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ৩২৩ জন পৌর মেয়র রয়েছেন।
এ ছাড়াও ৯৮৮ উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
ডিসিদের অপসারণ করার সিদ্ধান্তের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, অর্থসচিব ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদারসহ এসএসবির একাধিক সদস্য।
সূত্র জানায়, ডিসি নিয়োগ ইস্যুতে বিগত সরকারের আমলে বঞ্চিত পাঁচ কর্মকর্তার সহায়তা নেয়া হবে। তারা হলেন বিসিএস ২৪ ব্যাচের নুরজাহান খানম ও নজরুল ইসলাম, ২৫ ব্যাচের নুরুল করিম ভুইয়া ও ফরিদা খানম এবং ২৭ ব্যাচের সারোয়ার আলম।
জানা গেছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দায়িত্ব পালনে অনেক ডিসিও অনীহার কথা জানিয়েছেন। তারা মাঠ প্রশাসন থেকে ফেরত নেয়ার জন্য ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথাও বলেছেন। সবমিলিয়ে সব জেলা প্রশাসককে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে নিয়োগ বাতিল, নতুন নিয়োগ ও বদলি হচ্ছে।
বিভিন্ন অভিযোগ থাকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো. জাহাংগীর আলমকে বুধবার (১৪ আগস্ট) বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। এদিন এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
অন্যদিকে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার ১১ জন সচিব ও সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগও বাতিল করা হয়। তাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে একই দিন বিকেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এরপর নিয়োগ বাতিল, নতুন নিয়োগ এবং বদলির আরো প্রজ্ঞাপন হয়েছে। আগামীতেও এটি অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply