কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট সংঘর্ষে নিহতসহ ২১ বেওয়ারিশ লাশ দাফন করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম। ঢাকার তিনটি সরকারি হাসপাতাল থেকে এ লাশগুলো পুলিশ তাদের দাফন করতে দেয়।
আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কর্মকর্তারা জানান, গত তিন দিনে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ডিএমসি) হাসপাতাল থেকে মোট ১৮টি বেওয়ারিশ লাশ পাঠানো হয়। এর মধ্যে ২২ জুলাই নয়জনের এবং ২৪ জুলাই আরো নয়জনের লাশ দাফনের জন্য পাঠানো হয়।
তবে, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, ২২ জুলাই যেসব বেওয়ারিশ লাশ পাঠানো হয় সেগুলো পুরনো লাশ। চলমান কোটা আন্দোলন ঘিরে এসব নিহতের ঘটনা ঘটেনি।
ডিএমসির ফরেনসিক বিভাগের প্রধান কাজী গোলাম মুখলেসুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘২২ জুলাই যেসব বেওয়ারিশ লাশ আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামকে দেয়া হয়েছে সেই নয়টি লাশ ওই ঘটনার না। আমাদের মরচুয়ারিগুলো খালি করার জন্য আগে যে বেওয়ারিশ লাশ ছিল সেগুলো। ওই ঘটনার সাথে এগুলো সম্পর্কিত না।’
আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কর্মকর্তারা জানান, ডিএমসি থেকে পাঠানো লাশগুলোর মধ্যে একটি নবজাতক শিশুর লাশও ছিল।
সংস্থাটি থেকে জানানো হয়, ২২ জুলাই সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে দুটি বেওয়ারিশ লাশ দাফনের জন্য পাঠানো হয়। আর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল থেকে ২৩ জুলাই একটি বেওয়ারিশ লাশ দাফন করার জন্য পাঠানো হয়।
মোহাম্মদপুরের বসিলায় কবরস্থানে এসব লাশ দাফন করে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম।
সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানান, আইনানুযায়ী পুলিশ ডিএনএ টেস্টে যাতে শনাক্ত করা যায় সে কারণে বেওয়ারিশ লাশের শরীর থেকে নমুনা রাখে। পরে তারা দাফন করার জন্য পাঠায়।
ডিএমসির ফরেনসিক বিভাগের মর্গের ডোম রামু চন্দ্র দাস বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘২৪ জুলাই যে লাশ পাঠানো হয়েছিল তাদের কয়েকজন গুলিবিদ্ধ ছিল আর কয়েকজনের শরীরে মারাত্মক জখমের আঘাত ছিল। পিটিয়ে মারলে যে রকম হয় সে রকম আঘাত কয়েকজনের পিঠে দেখা যায়।’
সূত্র : বিবিসি
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply