নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমান খালেদ ও আনমুন গ্রামের কাউন্সিলর নানু মিয়ার সংঘর্ষের ঘটনা শালিশে নিষ্পত্তি হয়েছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারী বুধবার ৪ ঘন্টাব্যাপী নবীগঞ্জ শহরে মারামারির ঘটনা ঘটে।
পরে হবিগঞ্জ-১, নবীগঞ্জ-বাহুবল এলাকার সংসদ সদস্য এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়া, নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুপম দাশ অনুপ, নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল খয়ের, নবীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ মাসুক আলী, উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল ও উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মুজিবুর রহমান,
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ মিলু, করগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান নির্মলেন্দু দাশ রানা, ইউনাতগঞ্জ ইউ/পি চেয়ারম্যান মোঃ নোমান হোসেন, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম তালুকদার এর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
ওই সংঘর্ষ ও মারামারির ঘটনাটি ১১ মার্চ সোমবার সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৬টায় বিষয়টি শালিস বৈঠকে নিস্পত্তি হয়। উক্ত শালিস বৈঠকে হবিগঞ্জ-১, (নবীগঞ্জ-বাহুবল) নির্বাচনী এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটির আহবায়ক এম.এ মুনিম চৌধুরী বাবু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শালিস বৈঠকে উপজেলার ৩৫ জন গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য রাখেন।
তারা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটির যুগ্ম আহবায়ক শেখ সুজাত মিয়া, সদস্য ও নবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, নবীগঞ্জ পৌরসভা মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. গতি গবিন্দ দাশ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল,
সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ খালেদুর রহমান খালেদ, সাবেক ইউ/পি চেয়ারম্যান আ.ক.ম ফখরুল ইসলাম কালাম, সাবেক ইউ/পি চেয়ারম্যান সৈয়ধ মতিউর রহমান পেয়ারা, সময় পত্রিকার সম্পাদক মোঃ আলাউদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নুর উদ্দিন বুলবুল ও এডভোকেট সুলতান মাহমুদ, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান শেফু, নবীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী, ইউ/পি চেয়ারম্যান নির্মলেন্দু দাশ রানা, ইউ/পি চেয়ারম্যান শাহরিয়ার নাদির সুমন,
শেখ ছাদিকুর রহমান শিশু, নোমান হোসেন, জাতীয় পাটির কেন্দ্রীয় নেতা ডাঃ শাহ আবুল খায়ের, সাবেক ইউ/পি চেয়ারম্যান মোঃ আবু সিদ্দিক, সাবেক ইউ/পি চেয়ারম্যান বজলুর রশিদ ও মাওঃ মাসুদ আহমদ জিহাদী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ মিলু, জেলা পরিষদ সদস্য শেখ শফিকুজ্জামান শিপন, কাউন্সিলর মাখন মিয়া ও নানু মিয়া, সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য আঃ মালিক, এড, ফারুক মিয়া, সাবেক কাউন্সিলর আব্দুস সালাম ও এট.এম সালাম, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শিহাব আহমদ চৌধুরী,
কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা আঃ মুকিত চৌধুরী, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি এম.এ আহমদ আজাদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম তালুকদার, মানবজমিন পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার এম.এ বাছিত, প্যানেল মেয়র জায়েদ চৌধুরী, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আঃ মুকিত, কাউন্সিলর কবির মিয়া, কাউন্সিলর জাকির হোসেন, কাউন্সিলর ফজল আহমদ চৌধুরী প্রমূখ।
দীর্ঘ ৬ ঘন্টা বৈঠক শেষে সভাপতি মহোদ্বয় শালিস বিচারের রায় ঘোষনা করেন। রায়ে একতরফা জামানত দেয়া কাউন্সিলর এর ৭ লক্ষ টাকা থেকে ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমান খালেদ এর রাজা কমপ্লেক্স ভাংচুরের ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ লক্ষ টাকা, বিভিন্ন ছোটখাটো দোকান ভাংচুরের ক্ষতিপূরণ বাবদ ১ লক্ষ টাকা এবং কাউন্সিলর নানু মিয়ার দোকান ও মোটর সাইকেল ভাংচুরের ক্ষতিপূরণ বাবদ ১ লক্ষ টাকা নিধারণ করে রায় ঘোষনা করা হয়।
Leave a Reply