স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নত করণ, পুলিশ বাহিনী ও সেনা বাহীনী গঠন, কোর্ট কাচারী ও ব্যাংক বীমা সচলকরাসহ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে ঘটে যাওয়া ক্ষতির মুখ থেকে দেশকে রক্ষা করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে ছিলেন। কিন্তু নির্মমভাবে জাতির জনককে হত্যা করার পরে স্বাধীনতা বিরোধীরা ২১টি বছর দেশ পরিচালনা করল।
কিন্তু এই সময়ে দেশের মানুষের ভাগ্যের কোন উন্নয়ন হয়নি। পরে কঠোর আন্দোলনের মধ্যদিয়ে আবারো ১৯৯৬ সালে রাষ্টিয় ক্ষমতার আসে আওয়ামীলীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে দেশ খাদ্যে সয়ং সম্পূর্ণ হল। রাস্তাঘাট কিছুই ছিলনা সব কিছুই নতুন করে শুরু করা হলো। বিদ্যুৎ ব্রিজ কালভার্টসহ সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন করা শুরু হলো। কিন্তু পরবর্তীতে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া হলোনা।
বিএনপি জামাত জোট দেশ পরিচালনা করতে গিয়ে ৬৪ জেলায় একযোগে বোমা নিক্ষেপ করাসহ আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে সারাদেশ ত্রাশের রাজত্বে পরিণত করা হলো। আবারো লড়াই সংগ্রাম আন্দোলনের মধ্যদিয়ে আওয়ামীলীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতার আসার পর দেশের এমন কোন সেক্টর নেই যে সেখানে উন্নয়ন করা হয় নাই।
বিশেষ করে গ্রামহবে শহর সেই নীতিতে আজ বাংলাদেশের সিটি কর্পোরেশন, উপজেলা পরিষদসহ প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে অভূতপূর্ণ উন্নয়ন করা হয়েছে। উন্নয়নের দ্বারা অব্যাহত রাখতে আবারো শেখ হাসিনার নৌকাকে ভোট দিয়ে বাংলার রাষ্ট নায়ক শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে সবার প্রতি আহবান জানান তিনি।
১১ নভেম্বর হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ চত্তরে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা গুলো বলেন। এরপূর্বে উপজেলার পর্তাপপুর নামক স্থানে একটি সড়কের ফলক উদ্বোধন, উপজেলা পরিষদ ভবন উদ্বোধনকরাসহ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে বাস্তবায়নাধীন বানিয়াচংয়ের ঐতিহাসিক সাগরদীঘি পরিদর্শন করেন। বানয়াচং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগ সভাপতি মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান মিয়ার সঞ্চালনায় প্রথমেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন,
বানয়াচং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরী, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, হবিগঞ্জ-২(বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের সাংসদ আলহাজ¦ এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনুয়ারুজ্জামান চৌধুরী, স্থানীয় সকরকার বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আলী আকতার, জার্মান আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আব্বাছ আলী চৌধুরী,
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এডভোকেট আলঙ্গীর চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীগের সভাপতি আলহাজ¦ আমীর হোসেন মাষ্টার, সাধারন সম্পাদক আঙ্গুর মিয়া, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন খান প্রমুখ। জনসভার শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মুফতি মাওলানা আতাউর রহমান।
এছাড়া জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত বিভিন্ন পর্যায়ের আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন দফতরের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply