টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (SDGs) যা বৈশ্বিক অভীষ্ট হিসাবেও পরিচিত, ২০১৫ সালে জাতিসংঘ সদস্যভুক্ত সকল রাষ্ট্র কর্তৃক দারিদ্র্যের অবসান, বিশ্বকে রক্ষা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সকল মানুষের শান্তি ও সমৃদ্ধি উপভোগ নিশ্চিত করার জন্য একটি সর্বজনীন আহ্বান।
জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (SDGs) অর্জনে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ১৭টি আন্তঃসম্পর্কযুক্ত অভীষ্ট, যেগুলো বাংলাদেশ ও বিশ্বজুড়ে উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে অনুভূত হয়েছে সেগুলো মোকাবেলা করে বাংলাদেশে এসডিজি অর্জন ও উন্নয়নের প্রভাব জোরদারে সহযোগিতা করতে টেকসই উন্নয়নের অ্যাজেন্ডা ২০৩০ ও ইউএন ডেভেলপমেন্ট সিস্টেম রিফর্ম (ইউএনডিএস)-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জাতিসংঘ সংস্থাগুলো নতুন ও সুসঙ্গত এক পদ্ধতিতে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।
টেকসই উন্নয়নে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, দারিদ্র্য দূরীকরণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, শান্তি, সুশাসন, পুলিশ সংস্কার, মানবাধিকার, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন, প্রজনন স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা, জনসংখ্যা, শিশু ও মাতৃ উন্নয়ন, টিকা কর্মসূচি, মাতৃ ও শিশু পুষ্টি, খাদ্য নিরাপত্তা, কিশোর ও তরুণ উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা, সাক্ষরতা, সংস্কৃতি, যোগাযোগ, ঐতিহ্য, শ্রম মানদণ্ড ও কর্মসংস্থান, অভিবাসন, শরণার্থী, মাদক ও অপরাধ, শিল্পোন্নয়ন, সক্ষমতা উন্নয়ন, প্রকল্প সেবা, শান্তিরক্ষা, স্বেচ্ছাশ্রম, সন্ত্রাস দমন, কৃষি উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা ও গবেষণা, এইচআইভি-এইডস, বাণিজ্য, আনবিক শক্তি, অন্তর্ভূক্তিমূলক আর্থিক রূপান্তর, অবকাঠামো ও পুনরুদ্ধার, মানব বসতি ও যোগাযোগ এবং প্রচারণা কার্যক্রমসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশে জাতিসংঘ সরকারকে সহযোগিতা করে চলেছে।
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা: Transforming Our World: the 2030 Agenda for Sustainable Development.
টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য ১৭ অভীষ্টের অধীনে ২৩২ সূচক ১৬৯ সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে
(১জানুয়ারী, ২০১৬ থেকে)।
বিশেষ বৈশিষ্ট্য: সার্বজনীন, রূপান্তরমূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সমন্বিত যা উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের জন্য প্রযোজ্য
দারিদ্র্য বিলোপ: সর্বত্র সব ধরনের দারিদ্র্যের অবসান
এ অভীষ্টটি অর্জনের জন্য ৭ সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের অধীনে ১৪ টি সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে।
ক্ষুধা মুক্তি: ক্ষুধার অবসান, খাদ্য নিরাপত্তা ও উনড়বত পুষ্টিমান অর্জন এবং টেকসই কৃষির প্রসার
এ অভীষ্টটি অর্জনের জন্য 8 সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের অধীনে ১৩ টি সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে।
সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ: সকল বয়সী সকল মানুষের জন্য সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিশ্চিতকরণ
এ অভীষ্টটি অর্জনের জন্য 13 সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের অধীনে ২৭ টি সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে।
মানসম্মত শিক্ষা: সকলের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক গুনগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং জীবনব্যাপী শিক্ষালাভের সুযোগ সৃষ্টি
এ অভীষ্টটি অর্জনের জন্য ১০ সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের অধীনে ১১ টি সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে।
লিঙ্গ সমতা: জেন্ডার সমতা অর্জন এবং সকল নারী ও মেয়েদের ক্ষমতায়ন
এ অভীষ্টটি অর্জনের জন্য ৯ সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের অধীনে ১৪ টি সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে।
এসডিজি ৬
নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন: সকলের জন্য পানি ও স্যানিটেশনের টেকসই ব্যবস্থাপনা ও প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা
এ অভীষ্টটি অর্জনের জন্য 8 সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের অধীনে ১১ টি সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে।
এসডিজি ৭
সাশ্রয়ী ও দূষণমুক্ত জ্বালানি: সকলের জন্য সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য, টেকসই ও আধুনিক জ্বালানি সহজলভ্য করা
এ অভীষ্টটি অর্জনের জন্য 5 সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের অধীনে ৬ টি সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে।
শোভন কাজ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি: সকলের জন্য পূর্ণাঙ্গ ও উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান এবং শোভন কর্মসুযোগ সৃষ্টি এবং স্থিতিশীল,অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন
এ অভীষ্টটি অর্জনের জন্য ১২ সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের অধীনে ১৭ টি সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে।
শিল্প, উদ্ভাবন ও অবকাঠামো: অভিঘাতসহনশীল অবকাঠামো নির্মাণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই শিল্পায়নের প্রবর্ধন এবং উদ্ভাবনার প্রসারণ
এ অভীষ্টটি অর্জনের জন্য ৮ সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের অধীনে ১২ টি সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে।
অসমতার হ্রাস: অন্তঃ ও আন্তঃদেশীয় অসমতা কমিয়ে আনা
এ অভীষ্টটি অর্জনের জন্য ১০ সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের অধীনে ১১ টি সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে।
টেকসই নগর ও জনপদ: অন্তর্ভুক্তিমূলক, নিরাপদ, অভিঘাতসহনশীল এবং টেকসই নগর ও জনবসতি গড়ে তোলা
এ অভীষ্টটি অর্জনের জন্য ১০ সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের অধীনে ১৫ টি সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে।
পরিমিত ভোগ ও উৎপাদন: পরিমিত ভোগ ও টেকসই উৎপাদনধরন নিশ্চিত
করাএ অভীষ্টটি অর্জনের জন্য ১১ সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের অধীনে ১৩ টি সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে।
জলবায়ু কার্যক্রম: জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব মোকাবেলায় জরুরি কর্মব্যবস্থা গ্রহণ
এ অভীষ্টটি অর্জনের জন্য ৫ সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের অধীনে ৮ টি সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে।
জলজ জীবন: টেকসই উন্নয়নের জন্য সাগর, মহাসাগর ও সামুদ্রিক সম্পদের সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবহার
এ অভীষ্টটি অর্জনের জন্য ৮ সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের অধীনে ১০ টি সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্থলজ জীবন: স্থলজ বাস্তুতন্ত্রের পুনরুদ্ধার ও সুরক্ষা প্রদান এবং টেকসই ব্যবহারে পৃষ্ঠপোষণা, টেকসই বন ব্যবস্থাপনা, মরুকরণ প্রক্রিয়ার মোকাবেলা, ভূমির অবক্ষয় রোধ ও ভূমি সৃষ্টি প্রক্রিয়ার পুনরুজ্জীবন এবং জীববৈচিত্র্য হ্রাস প্রতিরোধ
এ অভীষ্টটি অর্জনের জন্য ১২ সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের অধীনে ১৪ টি সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে।
শান্তি, ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান: টেকসই উনড়বয়নের জন্য শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজব্যবস্থার প্রচলন, সকলের জন্য ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথ সুগম করা এবং সকল স্তরে কার্যকর, জবাবদিহিতাপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিষ্ঠান বিনির্মাণ
এ অভীষ্টটি অর্জনের জন্য ১২ সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের অধীনে ২৩ টি সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে।
অভীষ্ট অর্জনে অংশীদারিত্ব: টেকসই উনড়বয়নের জন্য বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব উজ্জীবিতকরণ ও বাস্তবায়নের উপায়সমূহ শক্তিশালী করা
এ অভীষ্টটি অর্জনের জন্য ১৯ সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের অধীনে ২৫ টি সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে।
এসডিজি ৪: মানসম্মত শিক্ষা– সকলের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং জীবনব্যাপী শিক্ষালাভের সুযোগ সৃষ্টি
২০০০ সাল থেকে, সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য অর্জনে ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। ২০১৫ সালে উন্নয়নশীল অঞ্চলে বিদ্যালয়ে ভর্তির হার ৯১ শতাংশে পৌঁছেছে এবং বিশ্বব্যাপী বিদ্যালয়ের বাইরে থাকা শিশুদের সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। সাক্ষরতার হারও নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আগের তুলনায় অনেক বেশি মেয়ে শিশু স্কুলে যাচ্ছে। এগুলো সবই বিশ্বয়কর সাফল্য।
উচ্চ মাত্রার দারিদ্র্য, সশস্ত্র সংঘাত এবং অন্যান্য জরুরী অবস্থার কারণে কিছু উন্নয়নশীল অঞ্চলে অগ্রগতিও কঠিন হয়েছে। পশ্চিম এশিয়া এবং উত্তর আফ্রিকায় চলমান সশস্ত্র সংঘাতে শিশুদের বিদ্যালয়ের বাইরে থাকা শিশুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি একটি উদ্বেগজনক প্রবণতা। যদিও সাব-সাহারান আফ্রিকার সমস্ত উন্নয়নশীল অঞ্চলের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সর্বাধিক অগ্রগতি করেছে – ১৯৯০ সালে ৫২ শতাংশ থেকে, ২০১২ সালে ৭৮ শতাংশ পর্যন্ত – যদিও বড় বৈষম্য এখনও রয়ে গেছে। সবচেয়ে ধনী পরিবারের সন্তানদের তুলনায় সবচেয়ে দরিদ্র পরিবারের শিশুরা চার গুণ বেশি স্কুলের বাইরে থাকে। গ্রামীণ ও শহরের মধ্যে বৈষম্যও অনেক বেশি।
সকলের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং মানসম্পন্ন শিক্ষা অর্জন এই বিশ্বাসকে পুনর্ব্যক্ত করে যে শিক্ষা টেকসই উন্নয়নের অন্যতম শক্তিশালী এবং প্রমাণিত বাহন। এই লক্ষ্যমাত্রাটি নিশ্চিত করে যে 2030 সালের মধ্যে সকল ছেলে এবং মেয়েরা বিনামূল্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা সম্পূর্ণ করবে। লক্ষ্যমাত্রাটির আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল লিঙ্গ এবং সম্পদের বৈষম্য দূর করা এবং একটি মানসম্পন্ন উচ্চ শিক্ষায় সর্বজনীন প্রবেশাধিকার অর্জনের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণে সকলের সমান অ্যাক্সেস নিশ্চিত করা ।
৯১ %: উন্নয়নশীল দেশগুলীতে প্রাথমিক শিক্ষায় অন্তর্ভুক্তি ৯১ শতাংশে পৌঁছেছে।
৫৭ মিলিয়ন: এখনও, ৫৭ মিলিয়ন প্রাথমিক বয়সী শিশু স্কুলের বাইরে রয়ে গেছে, তাদের অর্ধেকের বেশি সাব-সাহারান আফ্রিকায়।
৪-এর মধ্যে ১: উন্নয়নশীল দেশগুলীতে, চারজনের মধ্যে একটি মেয়ে স্কুলে যায় না।
৫০%: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বয়সের সমস্ত স্কুল-বহির্ভূত শিশুদের প্রায় অর্ধেক সংঘাত-আক্রান্ত এলাকায় বাস করে।
বিশ্বব্যাপী ১০৩ মিলিয়ন : ১০৩ মিলিয়ন যুবকের মৌলিক সাক্ষরতার দক্ষতার অভাব রয়েছে এবং তাদের মধ্যে ৬০ শতাংশেরও বেশি নারী।
১০-এর মধ্যে ৬: ১০ এর মধ্যে ৬ জন শিশু এবং কিশোর-কিশোরী সাক্ষরতা এবং গণনে ন্যূনতম দক্ষতা অর্জন করছে না।
এসডিজি ৪ অর্জনে ১০ টি লক্ষ্যমাত্রা:
৮.১ ২০৩০ সালের মধ্যে সকল ছেলে মেয়ে যাতে প্রাসঙ্গিক, কার্যকর ও ফলপ্রসূ অবৈতনিক, সমতাভিত্তিক ও গুনগত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করতে পারে তা নিশ্চিত করা।
৪.২ ২০৩০ সালের মধ্যে সকল ছেলে মেয়ে যাতে প্রাথমিক শিক্ষার জন্য প্রস্তুতি হিসেবে প্রাক প্রাথমিক শিক্ষাসহ শৈশবের একেবারে গোড়া থেকে মানসম্মত বিকাশ ও পরিচর্যার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠে তার নিশ্চয়তা বিধান করা।
৪.৩ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষালাভের সুযোগসহ সাশ্রয়ী ও মানসম্মত কারিগরি, বৃত্তিমূলক ও উচ্চশিক্ষায় সকল নারী ও পুরুষের জন্য 2030 সালের মধ্যে সমান প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা।
৪.৪ চাকুরি ও শোভন কর্মে সুযোগলাভ এবং উদ্যোক্তা হবার জন্য প্রয়োজনীয় কারিগরি ও বৃত্তিমূলক দক্ষতাসহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক দক্ষতাসম্পন্ন যুবক ও প্রাপ্ত বয়স্ক জনগোষ্ঠির সংখ্যা 2030 সালের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমানে বাড়ানো
৪.৫ অরক্ষিত (সংকটাপন্ন) জনগোষ্ঠীসহ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী, নৃ-গোষ্ঠী ও অরক্ষিত পরিস্থিতির মধ্যে বসবাসকারী শিশুদের জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের সকল পর্যায়ে সমান প্রবেশিধাকার নিশ্চিত করা এবং শিক্ষায় নারী পুরুষ বৈষম্যের অবসান ঘটানো
৪.৬ নারী পুরুষ নির্বিশেষে যুবসমাজের সবাই এবং বয়স্ক জনগোষ্ঠীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ যাতে ২০৩০ সালের মধ্যে সাক্ষরতা ও গণন-দক্ষতা অর্জনে সফলকাম হয় তা নিশ্চিত করা
৪.৭ অপরাপর বিষয়ের পাশাপাশি, টেকসই উন্নয়ন ও টেকসই জীবন্ধারার জন্য শিক্ষা, মানবাধিকার, নারী পুরুষ সমতা, শান্তি ও অহিংসামূলক সংস্কৃতির বিকাশ, বৈশিক নাগরিকত্ব এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র এবং টেকসই উন্নয়নে সংস্কৃতি অবদান সম্পর্কিত উপলব্ধি অর্জনের মাধ্যমে সকল শিক্ষার্থী যাতে 2030 সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে পারে তা নিশ্চিত করা
৪.৮ শিশু, প্রতিবন্ধিতা ও জেন্ডার সংবেদনশীল শিক্ষা সুবিধার নির্মাণ ও মানোন্নয়ন এবং সকলের জন্য নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ, অন্ত্ররভুক্তিমূলক ও কার্যকর শিক্ষা পরিবেশ প্রদান
৪.৯ উন্নত দেশ ও অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, কারিগরি, প্রকৌশল ও বিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্মসূচিসহ উচ্চ শিক্ষায় ভর্তির জন্য উন্নয়নশীল দেশ, বিশেষ করে স্বল্পোন্নত দেশ, উন্নয়নশীল ক্ষুদ্রদ্বীপ রাষ্ট্র ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে প্রদেয় বৃত্তির সংখ্যা বৈশ্বিকভাবে ২০২০ সালের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমানে বাড়ানো
৪.১০ শিক্ষক প্রশিক্ষণে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে, বিশেষ করে স্বল্পোন্নত দেশ, উন্নয়নশীল ক্ষুদ্রদ্বীপ রাষ্ট্রগুলোতে যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমানে বৃদ্ধি করা
আমাদের দেশে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এসডিজি ৪: “সকলের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং জীবনব্যাপী শিক্ষালাভের সুযোগ সৃষ্টি” নিশ্চিত করার জন্য সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। দেশের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করণে সর্বাগ্রে প্রয়োজন মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা। সে লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করে চলেছে।
একীভুত শিক্ষা বাস্তবায়ন, শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি, উপবৃত্তি কার্যক্রম, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ও ভাষা ল্যাব স্থাপন, স্কুল ফিডিং কার্মসুচি, যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক তৈরির জন্য শিক্ষক নিয়োগে শিক্ষাগত যোগ্যতা বৃদ্ধি এবং বেতন গ্রেড উন্নীতকরণ করা হয়েছে। এছাড়া আইসিটি ইন এডুকেশনসহ বিভিন্ন ধরণের দীর্ঘ ও স্বল্পমেয়াদী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকদের প্রস্তুত করা হচ্ছে।
ভবিষ্যতে আরো যুগোপযোগী কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা এসডিজি ৪: সকলের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং জীবনব্যাপী শিক্ষালাভের সুযোগ সৃষ্টি নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হবে সে স্বপ্ন আমরা দেখতেই পারি।
তথ্যসূত্র: https://www.undp.org
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply