প্রবাসে (ব্রিটেনে) মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মিসেস বদরুন নেছা পাশা এমবিই,আর নেই (ইন্না…লিল্লাহি…. রাজিউন)।তিনি দীর্ঘদিন যাবত ক্যান্সারের সাথে লড়াই করে শনিবার লন্ডন সময় সকাল ৭টা ২৩ মিনিটে কুইন এ্যালিজাভেথ হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য ১৯৭১এর মুক্তিযুদ্ধের সময় জগলুল পাশা ও বদরুন্নেসা পাশা ‘বার্মিংহাম বাংলাদেশ অ্যাকশন কমিটি’ ও ‘উইমেন অ্যাসোসিয়েশন’-এর গুরুত্বপূর্ণ দুই প্রধান ব্যক্তি ছিলেন । প্রবাসে যারা প্রতিবাদ সমাবেশ করেছিলেন, আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন, মু্ক্তিযুদ্ধের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছেন, জনমত আদায়ের কঠিন কাজে যুক্ত ছিলেন তাদের মাঝে এই দম্পতির যৌথ অবদান স্মরণীয় হয়ে আছে।
দেশের প্রয়োজনে দুইজনই তাঁরা ঘর থেকে বের হয়ে এসেছিলেন, দাঁড়িয়েছিলেন আন্দোলনের অগ্রভাগে, বার্মিংহামে স্মলহিথ রোডে তাঁদের বাসাটি ছিল সেখানকার বাঙালিদের মিলনস্থল। স্বামী জগলুল পাশার সাথে বদরুন্নেসা পাশা বার্মিংহামের স্মলহিথ পার্কের ২৮ মার্চের ঐতিহাসিক দিনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন,শপথ গ্রহণ শেষে মিসেস পাশা হাজার মানুষের সামনে এক আবেগঘন বক্তৃতায় মানুষকে যুদ্ধে শামিল হতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের খরচ নির্বাহের জন্য মিসেস পাশা তার বিয়ের গহনা দেশের জন্য দান করে অর্থ সংগ্রহের সূচনা করেন। এই সাহসী উদ্যোগ অনেককে অনুপ্রাণীত করেছিল।
বাংলাদেশ স্বাধীন হলে প্রেসিডেন্ট আবু সাঈদ চৌধুরী সেই অলঙ্কারগুলোর ছবি সহ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তাকে। প্রবাসী সংগঠকদের মুক্তিযুদ্ধা স্বীকৃতি দিলেও বদরুন্নেসা পাশা সেই স্বীকৃতি পান নি। সেই আক্ষেপ নিয়েই চির বিদায় নিলেন তিনি। তিনি ১৯৬৩ সাথে ব্রিটেনের সোয়ানসী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়েনর জন্যে এসছিলেন। তার দেশের বাড়ি রাজশাহী বিভাগে মৃতু্যকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। মৃত্যুকালে তিনি একপুত্র এক কন্যা সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply