বাংলাদেশ বর্ধনশীল অর্থনীতিতে পরিণত হওয়াসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সাফল্যের প্রশংসা করলেন যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট অব বিজনেস এন্ড ট্রেড-এর মিনিস্টার অব স্টেট দ্য আর্ল অব মিন্টো টিমোথি মিন্টো।
তিনি বলেন অনেক ব্রিটিশ ব্যবসায়ী ব্যবসায় বাংলাদেশে তাদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও সম্প্রসারণ করতে আগ্রহী। ঢাকাকে দক্ষিণ এশিয়ার ‘এভিয়েশন হাব’ করার বাংলাদেশের লক্ষ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য সরকার বিমান চালনার দক্ষতা, অবকাঠামো এবং টেকসই উন্নয়নসহ এভিয়েশন হাব গড়ে তুলতে বাংলাদেশের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে। ব্রিটিশ মন্ত্রী আরও বলেন, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের জন্য উচ্চশিক্ষা, আর্থিক সেবা, ফার্মাসিউটিক্যালসহ অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। তিনি আগামী দিনে যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের দিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
২৫এপ্রিল বিকেলে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনে (আইএমও), বাংলাদেশের ৫২তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম কর্তৃক আয়োজিত কুটনৈতিক সম্বর্ধনায় গেস্ট অব অনার’ হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির প্রশংসা করেন ব্রিটিশ মন্ত্রী ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ মন্ত্রী ও ব্রিটিশ ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সিনিয়র সদস্য, ও বিভিন্ন দেশের কুটনীতিকরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে, জলবায়ূ পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায়, গণতন্ত্র ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য নেতৃত্বের অকুন্ঠ প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এবং যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট অব বিজনেস এন্ড ট্রেড-এর মিনিস্টার অব স্টেট দ্য আর্ল অব মিন্টো টিমোথি মিন্টো‘গেস্ট অব অনার’ হিসেবে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কূটনৈতিক কোরের মার্শাল অ্যালিস্টার হ্যারিসন । যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূত, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বিভিন্ন দলের সাংসদ এবং ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষাবিদ এবং ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট জনেরা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্টানে সম্বর্ধনার আয়োজক লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম স্বাগত বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু ও একাত্তরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও প্রগতিশীল মূল্যবোধের ভিত্তিতে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বায়ান্ন বছর পর বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।”
লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেন: “বাংলাদেশকে ডিজিটাল অর্থনীতিতে রূপান্তরিত করার আকাঙ্খা পূরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প ২০৪১ এবং একটি জলবায়ু সহনশীল ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ ঘোষণা করেছেন”। তিনি আশা করেন এসব লক্ষ্যে অর্জনে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের পাশে থাকবে। তিনি একাত্তরের যুদ্ধের সময় যুক্তরাজ্য সরকার, জনগণ, ব্রিটিশ-বাংলাদেশি এবং আইরিশ-বাংলাদেশি প্রবাসীদের অবদান শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
অ্যালিস্টার হ্যারিসন ৫২তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ১৯৭১ সালের মতোই দৃঢ় রয়েছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও একাত্তরের শহিদদের নিবেদন করে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি শিল্পীদের একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শম্পা রেজার কন্ঠে একটি কবিতা আবৃত্তি উপস্থিত সবাইকে মুগ্ধ করে। অনুষ্ঠান শেষে হাইকমিশনার অতিথিদের নিয়ে ‘বাংলাদেশের ৫২তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে একটি কেক কাটেন।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply