ইসরাইল প্রায় ১০০ বিমানভর্তি অস্ত্র পাঠিয়েছে আজারবাইজানে। ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল সময়কালে পাঠানো এসব অস্ত্রের মূল্য কয়েক বিলিয়ন ডলার। এর বিনিময়ে ইরানের ওপর গুপ্তচরবৃত্তির জন্য আজারবাইজানের ভূখণ্ডে একটি শ্রবণ চৌকি স্থাপনের জন্য ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোশাদকে অনুমতি দিয়েছিল দেশটি। ইসরাইলি দৈনিক হারেৎজের এক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
ইসরাইলি অস্ত্রগুলো আজারবাইজানি সিল্ক ওয়ে এয়ালাইন্সে করে ইসরাইলের ওভদা বিমান বাহিনী ঘাঁটি থেকে পরিবহন করা হয়।
উল্লেখ্য, এই এয়ারলাইন্সটির বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে ভয়াবহ অভিযোগ ওঠে। এতে বলা হয়, তারা সিআইএ ও ন্যাটোর সতর্ক দৃষ্টির মধ্যেই আইএস ও আল-কায়েদার জন্য অস্ত্র পরিবহন করেছিল।
সিল্ক ওয়ে এবং আরেকটি বিমান প্রায় ১০০ বার ওভদায় অবতরণ করে বলে হারেৎজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ২০১৬ সালে সবচেয়ে বেশি বিমান চলাচল করেছে। তারপর নাগানো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া-আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধ চলার সময়ও ইসরাইলের সাথে দেশটির ফ্লাইট চলাচল বেড়ে যায়।
বলা হয়, আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের চার দিনের এবং পরে ২০২০ সালের যুদ্ধে ইসরাইলি অস্ত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস ইনস্টিটিউটের মতে, ২০১৬ সাল থেকে আজারবাইজানের ৭০ ভাগ অস্ত্র সরবাহ করছে ইসরাইল।
অন্যদিকে ইসরালি গোয়েন্দা সংস্থা মোশাদ ইরানের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করতে আজারবাইজানের দক্ষিণ সীমান্তে একটি শ্রবণ চৌকি স্থাপন করে। এমনকি ইরানি পরমাণু স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা চালানোর সুবিধার জন্য একটি বিমানক্ষেত্র প্রস্তুত করার অনুমতিও ইসরাইলকে দিয়ে রেখেছে আজারবাইজান। ইরান ও আজারবাইজান উভয়ে শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হলেও তাদের মধ্যকার সম্পর্ক শীতল।
হারেৎজের খবরে বলা হয়, মোশাদের অ্যাজেন্টরা দুই বছর আগে ইরানি পরমাণু আর্কাইভ চুরি করে ইসরাইলে এনেছিল আজারবাইজানের মাধ্যমে। বাকু থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, অনেক বছর ধরেই আজারবাইজানে ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা, ইলেকট্রনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম, কামিকাজ ড্রোনসহ অত্যাধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করছে ইসরাইল।
সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply