লন্ডন সফররত বাংলাদেশের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সাথে ব্রিটিশ মেরিটাইম এভিয়েশন ও সিকিউরিটি বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারনেস ভেয়ার অব নরবিটন-এর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় ব্রিটিশ মন্ত্রী বাংলাদেশের সাথে পরিবেশ-বান্ধব নৌপরিবহন সেক্টর গড়ে তুলতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে ব্রিটিশ টেকনিক্যাল কো অপারেশন এইড-এর সহযোগিতায় বাংলাদেশে মেরিন একাডেমির যাত্রা শুরুর কথা উল্লেখ করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী দুই দেশের নৌপরিবহন সহযোগিতার ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশের নৌ পরিবহণ সেক্টরে ব্রিটেনের সহযোগিতা বৃদ্ধির, বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও মংলাসহ দেশের বিভন্ন সমুদ্রবন্দরে পরিবেশ-বান্ধব প্রযুক্তি প্রদান, বাংলাদেশি নাবিকদের সার্টিফিকেট অব কম্পিটেন্সী-এর মিউচুয়াল রিকগনিশন ও ব্রিটেনের বিভিন্ন বন্দরে বাংলাদেশি নাবিকদের অন এরাইভাল ভিসা প্রদানের জটিলতা দূর করার অনুরোধ জানান।
বৈঠকে ব্রিটিশ মন্ত্রী ব্যারনেস ভেয়ার বাংলাদেশে পরিবেশ-বান্ধব নৌপরিবহন সেক্টর গড়তে এবং কপ-২৬-এ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও উদ্ভাবনী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। এছাড়া বৈঠকে উভয় মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় মেরিটাইম ও শিপিং সেক্টরের ডিকারবোনাইজেশনের লক্ষ্যে দুই দেশের মেরিটাইম একাডেমি ও ইন্সিটিউটের মধ্যে প্রযুক্তি ও পলিসিগত বিষয়ে গবেষণা ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
ব্রিটিশ ট্রান্সপোর্ট মন্ত্রণালয়ে গতকাল শুক্রাবার অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে ব্রিটেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ও ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি সাইদা মুনা তাসনিম এবং নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোঃ নিজামুল হক অংশগ্রহণ করেন। উল্লেখ্য, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের ১২৮তম কাউন্সিলে অংশগ্রহণের জন্য তিন দিনের ব্রিটেন সফরের সময় অনুষ্ঠিত এই বৈঠক ছিলো ২০০৯ সালের পর দুই দেশের নৌপরিবহন মন্ত্রী পর্যায়ের প্রথম বৈঠক।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply