লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে সশস্ত্রবাহিনী দিবস উপলক্ষে লন্ডন্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন গতকাল ২১ নভেম্বর লন্ডন সময় সন্ধ্যে ছয় ঘটিকায় ওয়েষ্টলন্ডনের তারপিনতারা হোটেলে আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের ফাষ্টসেক্রেটারী মাহফুজা রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্টানের শুরুতে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর শহীদ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এর পর বাজানা হয় বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের জাতীয় সঙ্গীত ‘‘ আমার সোনার বাংলা আমি তুমায় ভালবাসি’’ ও ব্রিটিশ জাতীয় সঙ্গীত ‘’ গড সেইভ দ্য কিং’’।
অনুষ্টানে প্রজেক্টারের মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও সশস্ত্রবাহিনী দিবসের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। অনুষ্টানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত ডিফেন্স এ্যাডভাইজার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মঈন খান। অনুষ্টানে বক্তব্য রাখেন লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম। হাইকমিশনার তার বক্তব্যে বলেন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের উন্ননয় অগ্রগতি থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা ভূমিকা রাখছেন।
বিশেষ করে আন্তর্জাতিক পিস মিশনে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর অবদানের কথা তুলে ধরেন। অনুষ্টানে আরো বক্তব্য রাখেন ব্রিটিশ সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র মিস এমই সিনিয়র, ও কনজারভেটিভ ফ্রেন্ডস অব ভারতের প্রেসিডেন্ট লর্ড রমি রেঞ্জার। অনুষ্টানে ব্রিটিশ রাজনীতিক ও ব্রিটেনে বসবাসরত বাংলাদেশী কমিউনিটির বিশিষ্টজনেরা অংশ নেন। অনুষ্টান শেষে ডিফেন্স উইংসের পক্ষ থেকে আগত অতিথিদের জন্যে আয়োজন করা হয় নৈশ ভোজের।
এখানে উল্লেখ্য যে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এই দিনে সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী গঠিত হয় এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ওপর সর্বাত্মক আক্রমণ শুরু করে, যা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়কে ত্বরান্বিত করে।দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ঐতিহাসিক এ দিনটিকে প্রতিবছর সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply