পাকিস্থানের লাহোর শহর এখন অপরাধীদের স্বর্গ রাজ্য ।পাকিস্থানের শীর্ষ দৈনিক ডন পত্রিকার রিপোর্ট। পত্রিকাটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বেশ কয়েকটি লোমহর্ষক ঘটনার চিত্র। পত্রিকাটি দাবী করছে লাহোর এখন ভূমিদস্যু ও অন্যান্য অপরাধীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। অপরাধীদের সাথে সখ্যতা রয়েছে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের। যে কারনে অপরাধীরা বেপরোয়া।
অপরাধীদের ভয়ে কেউ আইনের আশ্রয় নিতে চাইছেনা। আইনের আশ্রয় চাইতে গেলেই শেষ করে দেয়া হচ্ছে, তাই ভয়ে বাসাবাড়ী ব্যবসা প্রতিষ্টান ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষ। পুলিশের আশির্বাদপুষ্ট ভুমিদস্যু এবং অপরাধীদের হাতে জিম্মি সাধারন মানুষ। প্রশাসনের সহযোগীতা ভূমিদস্যুরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি শহরে হাউজিং সোসাইটির সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ব্যাপক ব্যবসায়িক কার্যক্রম বৃদ্ধি পাওয়াতে ভূমি মাফিয়াদের বেআইনি উপায়ে জমির মালিকদের সম্পত্তি দখলের ঘটনা লাহোরে অপরাধের অন্যতম কারণ।
স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে। পাকিস্তানের লাহোর শহরে অপরাধের প্রায় ৩০ শতাংশ যোগ হয়েছে দখলের ক্ষেত্রে। রয়েছে ড্রাগ-চাঁদাবাজি ও জঙ্গিদের ঘাটিও। যা শহরটিকে অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল বানিয়েছে। চাঁদাবাজ এবং ভূমিদস্যুদের কারনে বেশ কয়েকটি হাউজিং কোম্পেনীকে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে পালাতে হয়েছে। ভূমি মাফিয়াদের অবৈধ উপায়ে সম্পত্তি দখলের ঘটনা লাহোরে অপরাধের অন্যতম কারণ, স্থানীয়দের মধ্যে বাড়ছে ভয় । স্থানীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা রাস্তার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের চেয়ে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়’ নিয়ে তাদের বেশিরভাগ সময় ব্যয় করতে হয়। একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ডন জানিয়েছে, “ভূমি মাফিয়াদের সাথে একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসারের সন্দেহজনক ভূমিকা টক অব দ্য টাউন।
এমন শত শত অভিযোগ রয়েছে ভূমি দখলকারীরা পুলিশ অফিসারের সামনে বৈধমালিকদের মূল্যবান সম্পত্তির দখল করে নিচ্চে পুলিশ পালন করছে নীরব দর্শকের ভূমিকা। শুধু ভুমি দখল বা ব্যবসা প্রতিষ্টানে চাঁদাবাজিই নয় সুন্দরী নারীরাও ঘর থেকে বের হতে সাহস পাচোছনা। তার উপর বাড়ী বাড়ী গিয়ে জঙ্গি গোষ্টী জোর করে চাঁদা আদায় করছে। পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয় এমন অবস্থা চলতে থাকলে লাহোর বসববাসের অযোগ্য নগরীতে পরিণত হবে। আর সেই দৃশ্যই এখন পরিলক্ষিত হচ্ছে।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply