ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ পার্টির প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য অন্য ছয় প্রার্থীকে পেছনে ফেলে চূড়ান্তভাবে উঠে এসেছেন ঋষি সুনাক ও লিজ ট্রাস। এই দুই প্রার্থীর মধ্যে হবে ফাইন্যাল প্রতিযোগীতা।
টোরি (কনজারভেটিভ) পার্টির ১৬০,০০০ সদস্য ভোটের মাধ্যমে একজনকে বেছে নেবেন। কে হচ্ছেন পরবর্তি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তা জানা যাবে ৫সেপ্টেম্বর।
ঋষি সুনাক না লিজ ট্রাস সে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন ব্রিটেনবাসী। ১০নং ডাউনিং ষ্ট্রীট সূত্রে জানা যায় ১৩৭ ভোট পেয়ে সুনাক রয়েছেন শীর্ষস্থানে এবং ১১৩ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন লিজ ট্রাস।
আর সবচেয়ে কম ১০৫ ভোট পেয়ে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়েছেন পেনি মর্ডান্ট।এখন কনজার্ভেটিভ পার্টির প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড়ে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ঋষি সুনাক এবং লিজ ট্রাসের মধ্যে।
টোরি (কনজারভেটিভ) পার্টির ১৬০,০০০ সদস্য ব্যালটের মাধ্যমে তাদের রায় জানাবেন।চূড়ান্ত দুই প্রার্থীর মধ্যে যিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পাবেন তিনিই হবেন কনজারভেটিভ প্রার্টির প্রধান ও পরবর্তি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
২০ জুলাইর আগে কনজার্ভেটিভ পার্টির এমপি’দের চারদফা ভোটে একে একে ঝরে গেছেন ৮প্রার্থী। শেষ সময়ে টিকে ছিলেন ৩ জন। মঙ্গলবার চতুর্থ দফা ভোটে ছিটকে পড়েন পেনি মর্ডান্ট। আর সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে এগিয়ে ছিলেন ঋষি সুনাক।মঙ্গলবারের ভোটে সুনাক পান ১১৮ ভোট।
অন্যদিকে, জুনিয়র বাণিজ্যমন্ত্রী পেনি মরডান্ট ৯২ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস ৮৫ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে ছিলেন।কিন্তু বুধবার চূড়ান্ত প্রার্থী বাছাইয়ের পঞ্চম দফা ভোটে আগের হিসাব পাল্টে দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেন লিজ ট্রাস।চূড়ান্ত পর্বে ওঠার পর ট্রাস সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি পুরোপুরি ‘ইতিবাচক প্রচারণায়’ মনোনিবেশ করেছিলেন।
তার প্রতি আস্থা রাখার জন্য সহকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন ট্রাস। এদিকে, ভারতীয় বংশদ্ভোত ঋষি সুনাকও তার প্রতি আস্থা রাখার জন্য সহকর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, “দেশব্যাপী তাদের বার্তা পৌঁছে দিতে আমি দিনরাত কাজ করব।’’ যদি কনজারভেটিভ দলের সদস্যদের ফাইন্যাল ভোটে ঋষি সুনাক জিতে যান তাহলে ব্রিটিশ ইতিহাসে তিনিই হবেন মাইগ্রেন্ট কমিউনিটি থেকে প্রথম ব্রিটিশ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply