বাঙ্গালী অধ্যুসিত পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস এলাকার বো লেক—এ ছুরিকাঘাতে নিহত ব্রিটিশ বাংলাদেশী তরুণ আকিল হত্যা মামলার শুনানী চলছে ব্রিটেনের ওল্ড বেইলি আদালতে। এই মামলায় তিন ব্রিটিশ বাংলাদেশী যুবককে আসামী করে পুলিশ রিপোর্ট দেয়।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার শুনানীতে সাক্ষ্য দিয়েছেন নিহত যুবকের দুই বান্ধবী। শুনানী চলবে আরো কয়েক দিন। খুনের ঘটনা প্রমানিত হলে প্রত্যেকের আজীবন সাজা হতে পারে। ঘটনার বিবরনে জানা যায় গত বছরের ৬ নভেম্বর সকালে, নেভিগেশন রোডের পিছনের স্প্রিংগার কোর্টের একটি নির্জন স্থানে কুকুর নিয়ে হাঁটার সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি মোহাম্মদ আকিল মাহদি — যিনি আকিল নামেই বেশি পরিচিত — এর লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ।
তদন্ত শেষে তিন ব্রিটিশ বাংলাদেশীকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। পুলিশ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় ক্যামডেনের বাসিন্দা ২২ বছর বয়সী এই তরুণকে “বর্বরভাবে আক্রমণ” করা হয়েছিল এবং তার কাঁধে এবং নিতম্বে একাধিকবার ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল এবং ঘটনাস্থলেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এই হত্যার সাথে জড়িত থাকার দায়ে ওল্ড বেইলি কোর্টে যে তিন জনের এখন বিচার চলছে, এরা সকলেই ব্রিটিশ বাংলাদেশী তারা হলেনঃ ব্রমলি—বাই—বো—এর নেভিগেশন রোডের মাজেদ আহমেদ (১৯), কেমব্রিজ হিথের বিশপস ওয়ের মুজাহিদ আলী (২২) এবং নিউহ্যামের ভিক্টোরিয়া ডক রোডের আবুল কাশেম (২৯)।
আসামীদের সকলেই বৃহত্তর সিলেটের অধিবাসী। গত সপ্তাহে ওল্ড বেইলি আদালতে শুনানিকালে আকিলের দুই বান্ধবী জানান, ৬ নভেম্বর ভোরে যেদিন আকিলকে মৃত পাওয়া গিয়েছিল সেদিন মুজাহিদ আলী তাদের প্রত্যেককে ফোন করেছিলো, তবে তারা দুজনই জানতেন না যে গোপন নম্বর থেকে কলটি যিনি করেছিলেন তিনি কে ছিলেন।
আদালতে সাক্ষ্য দানকারী প্রথম তরুণী, যিনি ২০২১ সালের জুন থেকে আকিলের সাথে ডেটিং করছিলেন, তার সাথে মোহাজিদ আলী ফোনে কথা বলেন দেড় মিনিট এবং তখন তাকে জানান যে, আকিল এখনও তার প্রাক্তন বান্ধবীর সাথে যোগাযোগ করে। তবে তিনি আদালতকে জানান যে, আকিল তাকে বলেছিল অন্য মহিলার সাথে তার সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে যখন তারা ডেটিং শুরু করেছিল।
কিন্তু দ্বিতীয় তরুণী বিচারকদের বলেন যে তিনি ১৪ বছর বয়স থেকে বিগত সাত বছর ধরে আকিলের সাথে “অন এবং অফ” সম্পর্কে ছিলেন এবং তাকে (আকিলকে) হত্যা করার দুই সপ্তাহ আগে তিনি তার সাথে সম্পোর্কচ্ছেদ করেন।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply