লন্ডনের বাঙালি অসাম্প্রদায়িক সমাজকর্মীরা এই বলে সতর্ক করেছেন যে, ক্রমবর্ধমান সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী ধর্মান্ধ বিভাজন বাঙালির আত্মপরিচয়কে ক্রমাগতভাবে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
বাঙালি কমিউনিটির মধ্যে ক্রমবর্ধমান চরমপন্থী ধর্মীয় রাজনীতির সামনে অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষতাকে কীভাবে প্রসার করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করতে লন্ডনে একটি নেটওয়ার্কিং ইভেন্টে প্রবাসী বাঙালি অধিকার রক্ষাকর্মী, প্রচারণাকারী, বাঙালি কমিউনিটির বিভিন্ন পরিচিত মুখ এবং সাধারণ জনগণ এক সভায় একত্রিত হয়েছিলেন।
ন্যাশনাল সেকুলার সোসাইটি (এনএসএস) দ্বারা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি গত ২১ এপ্রিল লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসের টোয়েনবি হলে অনুষ্ঠিত হয়।
মানবতাকর্মী আনসার আহমেদ উল্লাহ বাঙালি সম্প্রদায়ের মধ্যে অসাম্প্রদায়িকতা, ধর্মনিরপেক্ষতার সম্প্রীতি নীতিগুলি গ্রহণের গুরুত্ব সম্পর্কে কথা বলেছেন।
অজন্তা দেব রায়, বি হিউম্যান ফার্স্ট-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং পরিচালক, ব্যাখ্যা করেছেন কীভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মনিরপেক্ষ বিরোধী প্রচারণা ধর্মীয় সংখ্যালঘু সহ প্রবাসী বাঙালি সম্প্রদায়কে প্রভাবিত করে৷
যুক্তরাজ্য নির্মূল কমিটির এর নির্বাহী সভাপতি সৈয়দ এনামুল ইসলাম কমিউনিটি পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম চেতনা ধর্মনিরপেক্ষতার প্রচার ও প্রসার করার জন্য শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন।
এনএসএস-এর প্রতিনিধিরা, সংগঠনটি কীভাবে ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্রকে উন্নীত এবং প্রতিষ্ঠা করার জন্য সরকারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে কাজ করে চলেছে তা ব্যাখ্যা করেন।
ন্যাশনাল সেক্যুলার সোসাইটির প্রধান নির্বাহী স্টিফেন ইভান্স বলেন, “আমরা যুক্তরাজ্যের বাঙালি প্রবাসীদের মধ্যে যারা তাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে সংহতির হুমকি নিয়ে উদ্বিগ্ন, এবং যারা ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের উপর দাঁড়িয়ে ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে কথা বলছেন, তাদের কণ্ঠস্বর তুলে ধরতে একটি প্ল্যাটফর্ম দিতে আগ্রহী ছিলাম।”
এনএসএস এর এনগেজমেন্ট অফিসার বুদ্ধ হালদার বলেন, ” যুক্তরাজ্যের বাঙালি কমিউনিটিতে ধর্মীয় উগ্রবাদের মোকাবিলা করতে, ধর্ম-ভিত্তিক রাজনীতিকে চ্যালেঞ্জ করতে এবং বাঙালির আত্মপরিচয়কে পুনরুজ্জীবিত করার উপায় হিসাবে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রচার করতে বাঙালি কমিউনিটির প্রত্যেককে তাদের ভূমিকা পালন করতে হবে।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply