বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জরুরি সভা শেষে সংগঠনটির মুখ্য সংগঠক হান্নান মাসুদ বলেছেন, সাংগঠনিক জায়গা থেকে আমরা সিদ্ধান্তে এসেছি, সরকারের সাথে আমাদের দ্বান্দ্বিক সম্পর্ক হবে। ভালো কাজে আমরা সঙ্গ দেব এবং ভুল করলে আমরা তাদের পাশে থেকে শুধরানোর চেষ্টা করব।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউয়ে সংগঠনটির কার্যালয়ে সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন হান্নান মাসুদ। জানা গেছে, সভায় উপদেষ্টা মনোনয়ন, লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা, ছাত্রসংসদ নির্বাচন, নাগরিক কমিটির সাথে সম্পর্ক নির্ধারণ, স্থানীয় পর্যায়ে সংগঠনের বিস্তার, সরকারের সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ায় ছাত্রপ্রতিনিধি রাখা প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে হান্নান মাসুদ জানান, ‘আমাদের সংগঠনকে গতিশীল করতে দ্রুত নির্বাহী কমিটি করা হবে। কয়েকটি সেল গঠন করা হবে, যার মাধ্যমে জনমানুষের সাথে বৈষম্যবিরোধীদের সমন্বয় করা হবে। এছাড়া এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে আহ্বায়ক কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হবে।’
নতুন কর্মসূচি প্রসঙ্গে হান্নান মাসুদ বলেন, ‘১০০ দিন উপলক্ষে বিশেষ কর্মসূচি নেয়া হবে। যেদিন শহীদ ও আহতদের নিয়ে আলোচনা হবে এবং আহতদের চিকিৎসা নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ, এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করা হবে। শহীদদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করা হবে জেলা পর্যায়ে গিয়ে। আমরা সরকারকেও জিজ্ঞেস করবো কেন আহতদের রাস্তায় নামতে হলো।’
সমন্বয়হীনতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের মধ্যে কোনো সমন্বয়হীনতা হচ্ছে কি না, সেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। যেসব সমন্বয়হীনতার কথা এসেছে সেগুলো কিভাবে উতরানো যায়, সেজন্য একটি রূপরেখা গঠনের জন্য প্রস্তাবনা নেয়া হয়েছে। ১০ দিনের মধ্যে এই রূপরেখা চূড়ান্ত করা হবে।’
সংগঠনে বিভাজনের বিষয়টি অস্বীকার করে হান্নান মাসুদ বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের মধ্যে কোনো বিভাজন নেই। সারাদেশের সমন্বয়কদের মধ্যে চার ঘণ্টা ধরে হৃদ্যতাপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের প্রতিশ্রতি নিয়ে কাজ করতে আমরা বদ্ধপরিকর। আজকে আমাদের প্রায় ৮০ জন উপস্থিত ছিল।’
এসময় সংগঠনটির সদস্য সচিব আরিফ সোহলে বলেন, ‘অভ্যন্তরীন সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ও স্থানীয় কমিটি গঠন নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে। আজকের বৈঠক থেকে আপাতত কোনো কর্মসূচি দেয়া হচ্ছে না।’
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply