গেল ৮ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে লুটন টাউন হলের কাউন্সিল চেম্বারে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ব্রিটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্মরণে “সবার প্রিয় রাণী যে তুমি” প্রকাশিত প্রথম বাংলা গান নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান।
এই অনুষ্ঠানের আয়োজক ইউনাইটেড নেশন লুটন শাখা ও পূর্বাচল-দ্য ইস্টার্ন স্কাই সাংস্কৃতিক সংস্থা। অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন রাজকীয় সম্মানে ভূষিত ড. নাজিয়া খানম ওবিই ডিএল, রাণীকে নিয়ে এই ঐতিহাসিক গানের রচয়িতা বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল হক ও এই গানের শিল্পি উপমহাদেশের প্রখ্যাত সুরকার ও সংগীত শিল্পী সৌম্যেন অধিকারী।
শুক্রবার এই অনুষ্টান ঘিরে লুটন টাউন হলে বসেছিল যেন চাঁদের হাট। মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল অনবদ্যে এই গানটি রাজ প্রতিনিধি লর্ড লেফটেন্যান্ট অফ বেডফোর্ডশায়ার সুজান লোসাডার মাধ্যমে ব্রিটেনের রাজা চার্লসের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
এ ছাড়াও অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন লুটনের মেয়র কাউন্সিলর তাহমিনা সালীম, হাই শেরিফ অফ বেডফোর্ডশায়ার বাভ শাহ্ ও ইউনাইটেড নেশন লুটন শাখার সম্পাদক ডেভিড চীজম্যান। অনুষ্ঠানের সূচনা হয় ইউনাইটেড নেশন লুটন শাখা এবং পূর্বাচল-দ্য ইস্টার্ন স্কাই এর চেয়ারপারসন ড. নাজিয়া খানমের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে। তিনি বলেন এই গানে রাণীর পৃথিবীময় শান্তির বাণী প্রচারের কথা বলা হয়েছে।
গানটির ভিডিও দেখার পর উপস্থিত অতিথিরা তাঁদের অনুভূতির কথা জানান। রাজ প্রতিনিধি সুজান লোসাডা উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে গীতিকার ও সুরকারকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন এই গান তিনি সম্মানীয় রাজার কাছে সযত্নে পৌঁছে দেবেন। এই গানে ব্রিটেন-বাংলাদেশ-ভারতের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের কথা লুটন মেয়রের বক্তব্যে উঠে আসে।
গানের মধ্য দিয়ে রাণীর বর্ণময় জীবনকথা প্রকাশের দিকটি হাই শেরিফের বক্তব্যেও উঠে আসে। গীতিকার ড. আনোয়ার গানটি রচনার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন এবং এ গান লিখে নিজেকে ধন্য মনে করেন।
সুরকার সৌম্যেন অধিকারী বলেন এই গানের কথার অভিনবত্ব তাকে সুর করতে অনুপ্রাণিত করে। এমন একটি সৃষ্টির সাথে নিজেকে জড়িয়ে রাখতে পেরে তিনি কৃতার্থ বোধ করেন। কলকাতার প্রখ্যাত বিঠোফেন রেকর্ডস কোম্পানি এই গানটির প্রকাশক। গানের সাব টাইটেলে ড. নাজিয়া খানমের করা ইংরেজী অনুবাদ গানটিকে পৃথিবী জুড়ে রাণীর অনুরাগী মহলে বিশেষভাবে সমাদৃত করবে।
এরপর রাজ প্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনদের হাতে গানের ডিভিডি তুলে দেন গীতিকার ড. আনোয়ার ও শিল্পি সৌম্যেন অধিকারী। সমাপনী বক্তব্যে ডেভিড চীজম্যান ইংল্যান্ড-ভারত-বাংলাদেশ এর সাংস্কৃতিক ও আন্তর্জাতিক মৈত্রীর কথা তুলে ধরেন।
এই অনুষ্টানে সংবাদপত্র ও নিউজ চ্যানেলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন উপস্থিত গুণীজন। সিলভার রুমে সান্ধ্য জলযোগে রাজ প্রতিনিধি সুজান লোসাডা নিজের হাতে কেক কেটেেউপস্থিত সকলের মনে রাণীর মমত্তের কথা স্মরণ করিয়ে দেন।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply