1. sm.khakon@gmail.com : bkantho :
কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল হওয়ার পর ভারতে কিভাবে থাকবেন শেখ হাসিনা - বাংলা কণ্ঠ নিউজ
শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫২ পূর্বাহ্ন

কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল হওয়ার পর ভারতে কিভাবে থাকবেন শেখ হাসিনা

বাংলা কণ্ঠ ডেস্ক
  • রবিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৪
  • ৩৭ বার পড়া হয়েছে
শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া নিয়ে ভারত যা ভাবছে

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কূটনৈতিক পাসপোর্ট ছাড়া অন্য কোনো পাসপোর্ট নেই। কিন্তু ইতোমধ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার তার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছে। এই অবস্থায় তার ভারতে থাকা নিয়ে জটিলতা তৈরি হতে পারে।

সম্প্রতি শেখ হাসিনার মতো তার উপদেষ্টামণ্ডলী, সাবেক মন্ত্রিসভার সদস্য এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সব সদস্যের কূটনৈতিক পাসপোর্টও বাতিল করেছে। এছাড়া তাদের স্ত্রী ও সন্তানদেরও কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অবিলম্বে তা কার্যকর হবে।

শেখ হাসিনা (৭৬) দেশত্যাগ করার পরপরই জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবউদ্দিন। এসব ব্যক্তির পাশাপাশি কূটনৈতিক কর্মকর্তাদের মধ্যে যাদের চাকরি বা চুক্তি শেষ হয়ে গেছে বা চুক্তি বাতিল করা হয়েছে, তাদেরও কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। সাধারণ পাসপোর্টের জন্য আবেদনের পর কমপক্ষে দুটি তদন্ত সংস্থার ছাড়পত্র সাপেক্ষে তাদের নামে পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে।

শেখ হাসিনা কি প্রত্যর্পণের ঝুঁকিতে আছেন

ভারতের সরকারি সূত্র বলছে, কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল হওয়ার পর শেখ হাসিনার কাছে এখন আর কোনো পাসপোর্ট নেই। ভারতের ভিসানীতি অনুযায়ী, বাংলাদেশী কূটনীতিক বা কর্মকর্তাদের সরকারি পাসপোর্ট থাকলে তারা ভিসা ছাড়াই ভারতে আসতে পারেন। তারা চাইলে টানা ৪৫ দিন পর্যন্ত ভারতে থাকতেও পারেন। আজ শনিবার হিসাব করলে ইতিমধ্যে শেখ হাসিনা ২০ দিন ধরে ভারতে অবস্থান করছেন। বৈধভাবে তিনি আরো ২৫ দিন ভারতে থাকতে পারবেন।

শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল এবং এই পাসপোর্টের কারণে তার পাওয়া ভিসা-সুবিধা ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। এটি তাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের মতো ঝুঁকিতেও ফেলতে পারে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে ৫১টি মামলা হয়েছে, যার মধ্যে ৪২টি হত্যা মামলা।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০১৩ সালে সম্পাদিত এবং ২০১৬ সালে সংশোধিত প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনা আইনি কাঠামোর মধ্যে চলে আসতে পারেন। অবশ্য মামলায় যদি রাজনৈতিক কোনো ধরন বা উদ্দেশ্য থেকে থাকে, তাহলে প্রত্যর্পণের অনুরোধ ভারত সরকার নাকচ করতে পারে। তবে খুনের মতো অপরাধের মামলাকে স্পষ্টভাবে রাজনৈতিক বলে বিবেচনা থেকে বাইরে রাখা হয়েছে।

আশ্রয়ে থাকা ব্যক্তির প্রত্যর্পণের অনুরোধ আরেকটি কারণে প্রত্যাখ্যান করা যেতে পারে। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে করা মামলা ‘ন্যায়বিচারের স্বার্থে সৎ উদ্দেশ্যে’ করা না হলে সরকার প্রত্যর্পণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে পারে।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

সামাজিক মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর
Developer By Zorex Zira

Designed by: Sylhet Host BD