পাঞ্জাব গণহত্যার ৪০তম বার্ষিকী ও স্বাধীন খালিস্তান রাষ্ট্রের দাবীতে গতকাল ১৬জুন ২০২৪ খৃষ্টাব্দ রোববার লন্ডনে প্রতিবাদ সমাবেশ ও র্যালী করেছে ভারতীয় শিখরা। ওয়াল্ড শিখ পার্লামেন্ট সহ কয়েকটি শিখ সংগঠনের ডাকে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ইংল্যাল্ড এর বিভিন্ন শহর থেকে সকল বয়সী নারী-পুরুষ শিশু সহ ৬/৭ হাজার শিখ সমাবেশে অংশ নেয়। যদিও দুপুর ১২টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা ছিল, সকাল থেকেই বার্মিংহ্যাম, লেষ্টার, নটিংহাম, মানচেষ্টার, লিডস, ডারবী ও অন্যান্য শহর থেকে শিখরা লন্ডনের হাইড পার্কে এসে সমবেত হয়।
এখানে অনুষ্টিত হয় সমাবেশ ও প্রার্থনা। এর পর শিখরা দুপুর এক ঘটিকা র্যালী নিয়ে হাইডপার্ক থেকে চলে যায় লন্ডনের ট্রাফলগার স্কয়ারে এখানেও অনুষ্ঠিত হয় সমাবেশ। সমাবেশ কারী সংগঠন গুলোর মধ্যে রয়েছে শিখ ফর জাষ্ট্রিজ, ওয়াল্ড শিখ পার্লামেন্ট, শিখ ফেডারেশন ইউকে, শিখ ইয়োথ সার্ভিস ইউকে, শিখ এ্যাসোসিয়েশন ইউকে, খালিস্তান মুভমেন্ট, ওয়াল্ড শিখ উইম্যান ফোরম।
সমাবেশ কারীরা কোন সংগঠনের ব্যানার বহন না করলেও সমাবেশ কারীদের হাতে ছিল পাঞ্জাব গণহত্যার ব্যানার ফেষ্টুন ও খালিস্তানের পতাকা। এসময় তারা তাদের দাবি সম্বলিত লিফলেট বিতরন করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ওয়াল্ড শিখ পার্লামেন্ট নেতা সুরন্দর সিং, শিখ এ্যাসোসিয়েশনের হিম পাল সিং, শিখ ফর জাষ্টিজের রনজিত সিং, বিক্রম সিং প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন ভারত সরকার যে ভাবে শিখদের উপর হত্যা নির্যাতন চালাচ্ছে তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়। যুগের পর যুগ ধরে চলছে অত্যাচার, শিখরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত। বিদেশও শিখরা নিরাপদ নয়, ভারতীয় গোয়েন্দারা বিদেশে শিখ নেতাদের হত্যা করছে। এযাবত লক্ষাধিক শিখকে হত্যা করা হয়েছে। অসংখ্যা শিখকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। এক মিলিয়ন শিখ দেশ ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।
ভারত বিভক্তির সময় কথা ছিল শিখদের সায়ত্ব শাসন দেয়া হবে। ভারত সরকার তা করেনি। তাই আমরা আমাদের স্বাধীনতা ও গণহত্যার বিচারের দাবিতে সোচাচার হয়েছি। আন্তর্জাতিক আদালতে ১৯৮৪ সাল থেকে শুরু করে এযাবত সকল গণহত্যার বিচার চাই। জাতিসংঘ সহ বিশ্ব বিবেক এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন গুলোর প্রতি আহবান জানাচ্ছি শিখদের পাশে দাড়ানোর জন্য। বক্তারা বলেন ১৯৮৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্দির সময় ভারতীয় সেনাবাহিনী স্বর্ন মন্দিরে প্রবেশ করে প্রার্থনারত শিখদের হত্যা করেছে। এর পর থেকেই চলছে হত্যা নির্জাতন। ইন্দিরা থেকে নরেন্দ্র মোদী কোন সরকারের সময়ই শিখরা নিরাপদ নয়। শুধু শিখ নয় সংখ্যালঘু মুসলিম, খৃষ্টান এবং অন্যান্য ধর্মালম্বীরা হিন্দুদের কাছে নির্জাতিত হয়ে আসছে।
এসময় শিখরা-খালিস্তান জিন্দাবাদ, ইন্ডিয়া আউট, উই ওয়ান্ট জাষ্ট্রিজ, ইত্যাদি শ্লোগান দেয়। খালিস্তানকে ভারতের কবল থেকে মুক্ত না করে ঘরে ফিরবনা এই ঘোষনা দিয়ে সমাবেশের সমাপ্তি ঘটে বিকেল পাঁচটায়।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply