আগামী অক্টোবর মাসে নির্বাচন, তার আগেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। কেয়ারটেকার সরকারের হাতেই পাকিস্তানের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি বলেন, আগামী মাসেই দেশ চালানোর ভার দেওয়া হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে। ২০১৮ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদে বসেন ইমরান খান। গত বছর এপ্রিলে তাঁকে সরিয়ে মসনদে বসেন শাহবাজ শরিফ।
তারপর থেকেই দেশের বহু উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করেন পাকপ্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি বলেন, “পূর্বসূরি ইমরান খান দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন।
সেই ধ্বংসস্তূপের হাত থেকে মাত্র ১৫ মাসের মধ্যে পাকিস্তানকে উদ্ধার করতে পেরেছে তার সরকার।” সেই সঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রীর দাবি, দেশের উন্নতির জন্য রাজনৈতিক স্বার্থ বিসর্জন দিয়েছেন তার দল এবং সরকারের শরিক দলগুলি।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচনের আগে সরকার ভেঙে দিতে হয়। কিছুদিনের জন্য দেশ চালানোর ভার নেয় কেয়ারটেকার সরকার। নির্বাচনে লড়ার জন্য কোনও দল যাতে বেশি সুবিধা না পায়, তা নিশ্চিত করতেই এই নিয়ম চালু রয়েছে পাকিস্তানে।
বিরোধী দলনেতা ও দেশের প্রধানমন্ত্রী মিলে ঠিক করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন। একমত না হলে একটি কমিটির কাছে নাম প্রস্তাব করতে হয়। সেখানেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলে দেশের নির্বাচন কমিশনের তরফে একজনকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত করা হয়। আগামী ১৪ আগস্ট বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হবে। সম্ভবত অক্টোবর মাসে নির্বাচন হতে পারে পাকিস্তানে।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply