1. sm.khakon@gmail.com : bkantho :
সুনামগঞ্জে মসজিদে দানকৃত কাঠাল নিলাম নিয়ে  দু'পক্ষের সংঘর্ষে  নিহত ৩ - বাংলা কণ্ঠ নিউজ
বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৫ পূর্বাহ্ন

সুনামগঞ্জে মসজিদে দানকৃত কাঠাল নিলাম নিয়ে  দু’পক্ষের সংঘর্ষে  নিহত ৩

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
  • সোমবার, ১০ জুলাই, ২০২৩
  • ১৯৫ বার পড়া হয়েছে
সুনামগঞ্জে মসজিদে দানকৃত কাঠাল নিলাম নিয়ে  দু'পক্ষের সংঘর্ষে  নিহত ৩
সুনামগঞ্জে মসজিদে দানকৃত কাঠাল নিলাম নিয়ে  দু'পক্ষের সংঘর্ষে  নিহত ৩। ছবিঃ সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কল ইউনিয়নের হাসনাবাজ গ্রামে মসজিদে দানকৃত ১টি কাঠাল নিলামে তোলা এবং দাম হাকাঁনো নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত এবং উভয়পক্ষের ৪০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সোমবার (১০ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাসনাবাজ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন হাসনাবাজ গ্রামের মৃত ছুফি মিয়ার ছেলে মো: বাবুল মিয়া (৫৮), একই গ্রামের নুরুল ইসলাম (৪২) ও আব্দুল বাছিতের ছেলে মো: শাহজাহান(৩৬)। তাৎক্ষণিক আহতদের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি। খবর পেয়ে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হাসনাবাজ গ্রামের মসজিদে এক ব্যক্তি একটি কাঠাল দান করেন। মসজিদে গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে এই কাঠালটি নিলামে তোলা হয় এবং দাম হাকাঁনো হয়। এতে গ্রামের দ্বীন ইসলামের পক্ষের লোকজন দামের কথা শুনা যাচ্ছে না বলে আওয়াজ তুললে প্রতিপক্ষ একই গ্রামের সুনু মিয়া ও জুনাব আলী গংরা বলে উঠেন মসজিদের ভেতরে অবস্থানকারী সবাই শুনলেও তোমরা কেন শুনতে পাওনি এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকটি হয়। এরই জের ধরে সকালে দ্বীন ইসলামের লোকজনের সাথে প্রতিপক্ষ সুনু মিয়া ও জুনাব আলীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। এতে দ্বীন ইসলামের পক্ষের বাবুল মিয়া ও নুরুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং সুনু মিয়া জুনাব আলীদের পক্ষে মো: শাহজাহান মিয়াকে গুরুতর আহত অবস্থায় সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে রাস্তায় তিনি মারা যান। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা দাড়াঁয় তিনজনে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হন। তবে তাৎক্ষণিক আহতের নাম ও পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে জয়কলস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: আব্দুল বাছিত সুজন জানান, গতকাল রোববার রাতে এবং আজকে ভোরে-হাসনাবাজ গ্রামে গিয়ে উভয় পক্ষের লোকজনের সাথে আলাদাভাবে বৈঠক করে কথা বলেছি। উভয় পক্ষের লোকজন আমাকে আশ্বস্ত করেছিলেন কোনো পক্ষই মারামারিতে যাবেন না। এমন আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের শান্ত করে উপজেলা পরিষদের মিটিংয়ে আমি চলে আসার পর শুনতে পাই উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। একটি কাঠাল নিয়ে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক।

এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ খালেদ চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ সন্দেহজনক তিনজনকে আটক করেছে।

সামাজিক মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর
Developer By Zorex Zira

Designed by: Sylhet Host BD