হবিগঞ্জ পৌরসভা জামে মসজিদে জুমার খুৎবায় মাওলানা সৈয়দ আজহার আহমাদ বলেছেন- আল্লাহর ওয়াস্তে দেয়া কোরবানীর সাথে ফ্রিজ কেনার কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না। যারা কোরবানীর গোস্ত ফ্রিজে রাখার উদ্দেশ্যে ফ্রিজ কেনেন, কোরবানী দেন তাদের কোরবানী কবুল হওয়ার কোনো কারণ নেই।
গরীবের হক মেরে, আত্বীয় স্বজনের হক মেরে গোস্ত জমিয়ে রাখার নাম কোরবানী হতে পারে না। নিয়ত ভাল হলে কোরবানীর পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই কোরবানী কবুল হয়। ঋন করে কোরবানী দেবেন না, আল্লাহর সাথে চালাকী করবেন না।
অনেকে আছে যারা কোরবানী ঈদের আগে জায়গা কিনে বলে আমার হাতে টাকা নেই, কোরবানী দেব কিভাবে, হজ্জে যাব কিভাবে। এসব চালাকের চেয়ে বহুগুন বেশি চালাক আমাদের আল্লাহ। আল্লাহ এদের পাকড়াও করবেন। তিনি বলেন- আল্লাহ পাক সর্ব প্রথম মানুষের নামাজের হিসাব নেবেন।
সংসারের হিসাব, জীবন পরিচালনার হিসাবে হবে পরে। একটি জাহাজ সাগরে ডুবে যাচ্ছে সে অবস্থায়ও যাত্রীদেরকে নামাজ পড়তে হবে, একজন গর্ভবতী মায়ের প্রসব ব্যথা শুরু হয়েছে কিন্তু রক্ত বের হয়নি, সে অবস্থায়ও নামাজ পড়তে হবে। নামাজের ব্যাপারে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। মাওলানা আজহার বলেন- হজ্জ ও ওমরাহ মানুষকে দারিদ্রমূক্ত করে, সম্মানিত করে।
প্রত্যেকের উচিত সম্পদের হক আদায় করা, আল্লাহর ঘর জিয়ারত করতে যাওয়া। ইসলামের অন্যতম শিক্ষা হচ্ছে বিধর্মীদের সাথে ভালো আচরণ করা, সামাজিকভাবে তাদের পাশে দাড়ানো। হিন্দু প্রতিবেশীদের বিয়ে শাদিতে যেতে নিষেধ নেই, তবে তাদের হাতে জবাই করা পশুর মাংস খাওয়া যাবে না। একই ঘরে আয়াতুল কুরসী ও দেবতার ছবি রাখা যাবে না।
২০ টাকা দিয়ে ভাগ্য পরিবর্তনের নামে জুয়া খেলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে মাওলানা সৈয়দ আজহার আহমাদ বলেন- আমলে ভাগ্য পরিবর্তন হয়, টিকেটে নয়, যারা টিকেটে ভাগ্য পরিবর্তনে বিশ্বাস করে তারা নিশ্চিত আল্লাহর সাথে কুফুরী করেছে, প্রতারনা করেছে।
এসব প্রতারকদের আল্লাহ ছাড় দেবেন না। তিনি সকলকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়ে জিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখ বুধবার আরাফার রোযাসহ অন্যান্য রোযা রাখার আহবান জানান।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply