লাখাই উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের রাসেল হত্যা মামলা এফআইআর এর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট রাহেলা বেগম গতকাল মঙ্গলবার আদেশ প্রদান করেন। ২ জুন রাসেল মিয়াকে হত্যা করা হয়।
পরে লাশ মাটি চাপা দিয়ে গুম করার চেষ্টা করে হত্যাকারীরা। পরে লাখাই উপজেলার বামৈ গ্রামের একটি হাওরে রাসেল মিয়ার ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। লাশের গায়ে অসংখ্য আঘাত রয়েছে বলে জানান নিহত রাসেলের স্ত্রী জমিলা খাতুন। এব্যাপারে ১২জনকে আসামী করে থানায় মামলা দিলেও তার মামলাটি গ্রহন করা হয়নি।
বাধ্য হয়ে তিনি ১১জুন কোর্টে মামলা দায়ের করেন। রাসেল হত্যাকান্ড নিয়ে কোনো অপমৃত্যু মামলা হয়েছে কিনা ৭ দিনের মধ্যে জানাতে লাখাই থানার ওসিকে নির্দেশ দেন আদালত। লাখাই থানা থেকে একটি প্রতিবেদন দিয়ে জানানো হয় যে, রাসেল হত্যা নিয়ে কোনো মামলা দায়ের হয়নি।
মঙ্গলবার (২০ জুন) নিহত রাসেলের স্ত্রীর দায়েরকৃত মামলাটি এফআইআর গন্যে রুজু করতে নির্দেশ প্রদান করেন বিচারক রাহেলা বেগম। হত্যা মামলার আসামীরা হল- ভাদিকারা গ্রামের রুমা আক্তার, জাকির হোসেন, সুমন মিয়া, তেঘরিয়া গ্রামের রুবেল মিয়া, পলাশ মিয়া, কাউছার মিয়া, শাহজাহান মিয়া, শামিম আহমেদ, শিফা আক্তার, নুর উদ্দিন, মিলন মিয়া ও মতিন মিয়া।
নিহত রাসেল মিয়ার স্ত্রী জমিলা খাতুনের পক্ষে মামলাটি দায়ের করেন এডভোকেট এম এ মজিদ।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply