ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।বরিস জনসন রাজনৈতিকভাবে ব্রিটেনের ডানপন্থী ধারার সমর্থক। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তিনি করোনা মহামারীর সময়ে লক ডাউনের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে সরকারি বাসভবনে নেতাকর্মী-বন্ধুদের নিয়ে পার্টি করেছিলেন, যা পার্টিগেট কেলেঙ্কারি নামে পরিচিতি লাভ করে। এর জেরে প্রথমে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান।
একই কারণে হারাতে হয় নিজের সংসদ সদস্য (এমপি) পদও। ক্ষমতা হারানো সেই বরিস জনসন এখন ব্রিটেনের প্রভাবশালী দৈনিক পত্রিকা ডেইলি মেইলে কলামিস্টের চাকরি পেয়েছেন। এখন থেকে প্রতি শনিবার পত্রিকাটির জন্য কলাম লিখবেন তিনি। শুক্রবার (১৬ জুন ২০২৩) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ডেইলি মেইল।
পাঠকদের আকৃষ্ট করতে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আপনি বরিসকে পছন্দ করুন কিংবা না করুন— এটা (বরিসের কলাম) আপনাকে পড়তে হবে। সরকারে আসীন ব্যক্তিবর্গ ও বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ— সবার জন্যই এটা প্রযোজ্য।”
ব্রিটেনের সবচেয়ে পরিচিত ও বিভাজন সৃষ্টিকারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইতোমধ্যে নাম কুড়িয়েছেন ৫৮ বছর বয়সী বরিস জনসন। ক্ষমতা হারালেও আয় রোজগারের জন্য বসে থাকেননি বরিস। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন সেমিনার ও কনফারেন্সে বক্তব্য দিয়ে ইতোমধ্যে লাখ লাখ পাউন্ড উপার্জন করেছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই ছাত্র প্রতিনিধির পেশাগত ক্যারিয়ার শুরু সাংবাদিকতার মাধ্যমেই। ১৯৮৭ সালে টাইমস ম্যাগাজিনের প্রতিবেদক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি; কিন্তু কোনও এক প্রতিবেদনে মনগড়া মন্তব্য দেওয়ার কারণে সেই চাকরি হারাতে হয় তাকে।
তারপর বিভিন্ন সময়ে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ ও দ্য স্পেকটেটরে প্রতিবেদক ও কলামিস্টের কাজ করেছেন তিনি। ২০০১ সালে কনজারভেটিভ পার্টিতে যোগ দেন বরিস। ওই বছর এমপিও হন তিনি। তারপর থেকে সংবাদপত্রে তার ব্যস্ততা কমতে থাকে।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply