ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী এবং দুই দেশের অভিন্ন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি উৎযাপনে লন্ডস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন ও ভারতীয় হাইকমিশন যৌথভাবে নোবেল বিজয়ী বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল ৩১মে বিকেলে সেন্ট্রেল লন্ডনের কেংনজিংটন হাইষ্ট্রটের পাঁচতারকা কপট্রনতারা হেটেলে এক বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
“রবীন্দ্রনাথ ও প্রকৃতি” শীর্ষক এই মনোমুগ্ধকর ও প্রাণবন্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ও রবীন্দ্রসংগীত গবেষক রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, ভারতের বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী অনিরুদ্ধ কুমার ঘোষাল রবিঠাকুরের প্রকৃতি এবং সামাজিক বিষয়ের গান পরিবেশন করে দর্শক-শ্রোতাদের বিমোহিত করেন। অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিলো সেলিব্রেটি বাংলাদেশী অভিনেত্রী শম্পা রেজার কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথের কবিতার ইংরেজি অনুবাদের অনবদ্য আবৃত্তি এবং ঋতুভিত্তিক রবীন্দ্রসঙ্গীতের সাথে বিশিষ্ট ব্রিটিশ-বাংলাদেশী নৃত্যশিল্পী স্বোয়ামী দাস ও তাঁর সহশিল্পীদের বর্ণাঢ্য নৃত্য পরিবেশনা।
বক্তব্য রাখছেন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী পাশে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।
উভয় দেশের জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্টানে শিল্পিদের ফুল দিয়ে বরন করেন লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম ও ভারতীয় হাইকমিশানার বিক্রম দোরাইস্বামী।
আগত অতিথিদের একাংশ ।
স্বাগত বক্তব্যে উভয় দেশের হাইকমিশনার বলেন ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক ভাই ভাই, আমাদের সভ্যতা এবং সংস্কৃতি এক ও অভিন্ন। এই সম্পর্ক আরো জোরদার হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়।
সঙ্গীত পরিবেশন করছেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।
নভেল বিজয়ী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর উভয় দেশের জাতীয় সঙ্গীত রচনা করেছেন। ভারত-বাংলার মানুষ সমান ভাবে কবিকে শ্রদ্ধা করে তাই প্রতি বছর উভয়দেশে জাতীয় ভাবে পালন করা হয় রবীন্দ্র জয়ন্তী। লন্ডনে বসবাসরত উভয় দেশের বিভিন্ন শ্রেণীপেশার পাঁচশতাধিক অতিথি এই মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা উপভোগ করেন। আগত অতিথিদের সম্মানে আয়োজন করা হয় নৈশভোজের। অনুষ্টানটির উপস্থাপনায় ছিলেন বাংলাদেশ হাইকমিশনের ফাষ্ট সেক্রেটারী মাহফুজা রহমান ও ভারতী মিশনের মিস সারাহ।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply