ঘূর্ণিঝড় মোখায় কক্সবাজার জেলায় প্রায় ১০ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সেন্টমার্টিন দ্বীপে ধ্বংস হয়েছে প্রায় এক হাজার ২০০ বাড়িঘর। তথ্য জানিয়েছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান।
ঘূর্ণিঝড় মোখা যেখানে সবচেয়ে বেশি আঘাত করেছে, সেই রাখাইন রাজ্যের অনেক এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সিত্তওয়ে শহরের বাসিন্দাদের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
সেখানকার এক বাসিন্দা বিবিসিকে জানিয়েছেন, সেখানকার কাঠের বাড়িঘর ভেঙ্গে পড়েছে। এমনকি শক্ত অনেক বাড়ির ছাদ উড়ে গেছে। সবধরনের টেলিফোন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, সিত্তওয়ে শহরের কেউ এখনো বাইরে যেতে পারছে না। সেখানে কোনো রকম উদ্ধার তৎপরতাও নেই।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা বিরোধী এনইউজে সরকারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঝড়ে ইরাবতী ও মান্দালায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোখায় বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন দ্বীপে অনেক ঘরবাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে এবং গাছপালা উপড়ে পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা মো: আজিজ রোববার বিকেলে জানান, পুরো দ্বীপ লণ্ডভণ্ড অবস্থা। টিনের ও বাঁশের হালকা ঘরবাড়িগুলো উড়ে গেছে। জায়গায় জায়গায় নারকেল গাছ, বিভিন্ন ধরনের গাছ উপড়ে পড়ে আছে।
জেটির কাছের হোটেল-রেস্তোরাগুলোর বেশিরভাগই ভেঙ্গে পড়েছে বলে তিনি জানান।
এখনো দ্বীপের বেশিরভাগ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে।
সূত্র : বিবিসি
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply