জামালপুর পৌরমেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন, কুশপুত্তলিকাদাহ এবং ডিসির বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে এলাকাবাসি। জামালপুর শহর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নূর হোসেন আবাহনীকে নির্যাতনের প্রতিবাদে ৩০ মার্চ এমন কর্মসূচি পালন করেন বিক্ষুব্দ এলাকাবাসি।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন-নির্যাতিত নূর হোসেন আবাহনীর পিতা আব্দুর রশিদ, বোন রিক্তা বেগম, এলাকাবাসী মো. সাজু মিয়া ও সুমন মিয়া প্রমুখ। বক্তরা বলেন, সাবেক এই ছাত্রলীগের সভাপতি নূর হোসেন আবাহনীকে ধরে নিয়ে মেয়রের বাড়ির পাশে হাত-পা বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। এতেই শেষনয়, দ্বিতীয় দফায় তাকে ইটের ভাটায় নিয়ে নির্যাতন করেছে। মাথার চুল কাটাসহ চোখের ভ্রু তুলে নিয়েছে। খবর পেয়ে এলাকাবাসি মুমূর্ষুবস্থায় তাকে উদ্ধার শেষে জামালপুর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
আমরা এই মেয়রের সকল কর্মকান্ডের সুষ্ঠু তদন্তসহ বিচারের দাবি করছি। জানা গেছে, ২৯ মার্চ নির্যাতিত ওই ছাত্র লীগ নেতা আবাহনী মেয়রকে ভূমিদস্যু আখ্যায়িত করে ফেইসবুক লাইফ দেয়। এতে সংক্ষুব্দ মেয়রের লোকজন দিয়ে এমন কান্ড ঘটানোর অভিযোগ এলাকাবাসির। এ ঘটনায় মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানু; ওই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্ত্বা আইনে জামালপুর সদর থানায় মামলা (নং-৮৮) দায়ের করেছেন। মেয়র ছানু এবং ছাত্র লীগ নেতা আবাহনী একই এলাকার বাসিন্দা।
২মিনিট ৪১ সেকেন্ডের লাইভে ছাত্র লীগ নেতা আবাহনীকে বলতে শোনা যায়, ‘প্রিয় জামালপুরবাসী, আজকে আপনাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেখাবো। আপনারা অতীতে দেখেছেন যে কিভাবে পাকিস্তানিরা আমাদের শাসন এবং শোষণ করেছে। এখন আপনারা দেখতে পারবেন পাথালিয়া পশ্চিমপাড়ায় যে কিভাবে শাসন এবং শোষণ হচ্ছে। সেই পাকিস্তানি স্টাইলে, সেই স্টাইলটা আপনারা দেখতে পারবেন।
এদিকে যা দেখতেছেন এটা হচ্ছে যে আমাদের মেয়র মহোদয় ছানোয়ার হোসেন ছানু বাড়ি করবে বলে, এই জমিগুলা নিয়েছে। প্রথমে সে (মেয়র) স্টাইলটা কি করছে, সে (মেয়র) স্টাইলটা করেছে, তার বাবার একমাত্র একটা সেচ পাম্প (মেশিনপাড়) ছিল। ওই সেচ পাম্পটা দিয়ে, (মেশিনপাড়টা) তিনি কৃষকদের আগে পানি দেওয়া বন্ধ করেছে। পানি দেওয়া বন্ধ করার ফলে আমাদের কৃষক যারা ছিল, তারা সেখানে আবাদ করতে পারে নাই।
আবাদ না করার ফলে ওই যে ছোট ছোট খুঁটিগুলা দেখতেছেন এই খুঁটিগুলা লক্ষ্য করে সে একদমই বাছাই করে নিয়েছে যে, সে এইভাবেই জমি জমা দখল করে নেবে। মাঝখানে কার জমি পড়েছে, সেটা তার দেখার বিষয় নাই।
এ ব্যাপারে জামালপুর পৌরসভার মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানুর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, মূলঘটনা হচ্ছে, গত বছর সরকার খাস জমি একুয়ার করে ভূমিহীনদের পূণর্বাসন করেছে। ওই খাস জমির কিছু অংশে তারা আবাদ করতো। এটা নিয়েই আমার সাথে বিরোধ। নূর হোসেন কোন ছাত্রলীগ নেতা নয়। সে বহিস্কৃত। আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছে।
আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে। সামাজিকভাবে আমার মান ক্ষুন্ন করেছে। ফেইসবুকে মিথ্যা অপবাদ ছড়ানোর দায়ে আমি মামলা করেছি। আমি তাকে নির্যাতন করিনি। তবে মেয়রের মামলায় এলাকাবাসি ক্ষুব্দ হয়ে তাকে উত্তম মাধ্যম, মাথার চুল এবং ভ্রু কাটার কথা এজাহারে উল্লেখ করেছেন।
Leave a Reply