প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ৩য় পর্যায়ের অর্বশিষ্ট ও ৪র্থ পর্যায়ে জমিসহ গৃহ হস্তান্তর এর মাধ্যমে গৃহহীনমুক্ত হতে যাচ্ছে নবীগঞ্জ উপজেলা। হাসি ফুটবে নবীগঞ্জ উপজেলার ২৭০টি পরিবারের মুখে। আগামীকাল বুধবার ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন ৪র্থ পর্যায়ের ২৭৭টি ঘর। যার মধ্য দিয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা হবে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত উপজেলা। গতকাল নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন এর আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্টিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ‘আশ্রয়ণের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার’ এ স্লোগানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির তালিকা অনুযায়ী নবীগঞ্জ ‘ক শ্রেণি’ভুক্ত ভূমিহীন ও গৃহহীন ৮১৫টি পরিবারকে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছে নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন।
এর মধ্যে ১ম পর্যায়ে ১১০টি, ২য় পর্যায়ে ৬০টি ও ৩য় পর্যায়ে ৩৫৫টি গৃহহীন পরিবারকে দুই শতাংশ জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। ৪র্থ পর্যায়ে আরও ২৭০টি ঘর আগামীকাল ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন। সেদিনই ক শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হবে নবীগঞ্জ উপজেলা।
দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণা বাস্তবায়নে উপজেলায় দুই শতাংশ করে খাস জমি বন্দোবস্ত করে প্রান্তিক গৃহহীন পরিবারকে একক গৃহ নির্মাণের মাধ্যমে বরাদ্দ প্রদান করা হচ্ছে। প্রতিটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে সমবায় ভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে চলছে রেজিস্ট্রেশনের কাজ। আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের সুপেয় খাবার পানি ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহানের নির্দেশনা ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে একক গৃহ নির্মাণ ও পরিকল্পনা সংক্রান্ত ম্যানুয়াল অনুসারে প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
গৃহহীনদের ঘর প্রদান বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান শাহরীয়ার। জাতির পিতা স্বপ্ন দেখতেন সোনার বাংলার প্রতিটি মানুষ খুঁজে পাবে নিরাপদ আশ্রয়। আশ্রয়ণ প্রকল্প যেন সেই নিরাপদ আশ্রয়ের চূড়ান্ত রূপ। সারা দেশের মতো নবীগঞ্জে আশ্রয়ণের ঘর পাবে ২৭০টি পরিবার। তাদের দুই শতাংশ জমির মালিকানা সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র ওইদিন বুঝিয়ে দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর মমতামাখা এ প্রকল্প আজ হাসি ফোটাচ্ছে লাখো মানুষের মুখে।
এর আগে পুনর্বাসিত ১৬০টি পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানাযায়, ঘর পাওয়ার আগে তারা অনেকেই অনাহারে-অর্ধাহারে দিনযাপন করতেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের জন্য নতুন ঘরের ব্যবস্থা করেছেন, শিখিয়েছেন নতুন করে বাঁচতে। অনেকেই ঘরের আঙিনায় শাকসবজির চাষাবাদ করছেন। কেউ কেউ হাঁস-মুরগি প্রতিপালনে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply