হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ছোট বহুলা জামে মসজিদে জুমার খুৎবায় মুফতি শাইকুল ইসলাম বলেছেন- সন্তান অবাধ্য হলে, ইন্টারনেট আসক্তিতে অপরাধে জড়িয়ে গেলে, ইসলাম থেকে বিচ্ছুৎ হলে এর দায়ভার পিতা মাতাকে বহন করতে হবে। অনেক সন্তান পিতা মাতার আযাব গযবের কারণ হয়ে দাড়াবে। ছোট বেলা থেকেই সন্তানদেরকে উচিত ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলা। নামাজ রোযার প্রতি মহব্বত তৈরী করে গড়ে তুলা।বর্তমান জামানায় ইন্টারনেট একটি ভয়াবহ অবস্থানে রয়েছে। ইন্টারনেট আসক্তি যুব সমাজকে ধ্বংস করছে।
দিন নেই রাত নেই ইন্টারনেট নিয়ে তারা বসে থাকে। সময়কে তারা অবহেলায় পার করছে। এর জবাবদিহী যেমন যুব সমাজকে করতে হবে একই সাথে সন্তানদের পিতা মাতাকেও করতে হবে। কারণ পিতা মাতা কেন তার সন্তানদেরকে সু শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলেননি। তিনি বলেন- ইন্টারনেট থেকে অনেক ভাল কিছু শেখা যায়। কোরআন হাদিস থেকে জানা বুঝা ইত্যাদি।
কিন্ত এর পরিমান খুব কম। বেশিরভাগই খারাপের দিকে ধাবিত হয়ে থাকে। যতদুর সম্ভব সন্তানদেরকে ইন্টারনেট থেকে দুরে সরিয়েই রাখতে হবে। মুফতি শাইকুল ইসলাম বলেন- আমরা বাহিরে যে যেমনই হই না কেন আমাদের ভাল মন্দের উৎকৃষ্ট বিচারক হচ্ছেন আমাদের স্ত্রীগন। স্ত্রীর দৃষ্টিতে যদি কেউ ভাল হয়ে থাকেন তাহলে নির্ধি¦ধায় তিনি ভাল। কারণ আমরা বাহিরে ভিন্ন রুপ ধারন করতে পারি, স্ত্রীর কাছে না। আমাদের আচার ব্যবহার আমল আখলাখ সবকিছু স্ত্রীর কাছে স্পষ্ট। এখানে লুকাবার মতো কিছু থাকে না।
হযরত আয়েশা (রা) কে প্রশ্ন করা হয়েছিল রাসুলে পাক (সা) এর চরিত্র কেমন, তিনি জবাবে বলেন- পবিত্র কোরআনই হচ্ছে রাসুল (সা) এর চরিত্রের প্রতিফলন। রাসুল (সা) বলেন- তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর কাছে উত্তম। রাসুলে পাক (সা) স্ত্রীদের সাথে খেলা তামাশা করতেন, মজা করতেন, হাস্যরস করতেন। রাসুল (সা) তার বিবিগনের সাথে দৌড় প্রতিযোগিতা পর্যন্ত করেছেন।
এম এ মজিদ, হবিগঞ্জ, ১০ মার্চ ২০২৩
০০১৭১১-৭৮২২৩২
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply