
মানবসেবা মানব চরিত্রের এক মহৎ গুণ। আচরণে বিনয় ও পরিশীলিত রুচিবোধ সমন্বিত মহৎ গুণে অধিকারী ছিলেন সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার প্রয়াত এফাজ উদ্দিন তালুকদার, যিনি অত্যন্ত খাটি মানুষ ছিলেন।
মানবকল্যাণে নিজের জীবন উৎসর্গ করে তিনি অমর হয়ে রয়েছেন। কোন প্রতিদানের আশায় নয়,নিঃস্বার্থভাবে অপরের প্রয়োজনে অর্থ দিয়ে,খাদ্য দিয়ে,বস্ত্র দিয়ে, সেবা শুশ্রুষা দিয়ে,দুর্বলের পাশে থেকে সবল হয়ে দাঁড়িয়েছেন তিনি,জনকল্যাণে পথ,ঘাট,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেন তিনি।
মহৎ হ্নদয়ের মানুষ এফাজ উদ্দিন তালুকদার ১৯২৬ সনে পাবনা জেলার তৎকালীন সিরাজগঞ্জ মহুকুমার কাজিপুর থানার মানিক পোটল গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম তালুকদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
তার বাবা প্রয়াত রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার ও দাদা সুলতান মাহমুদ তালুকদার ছিলেন বৃটিশ উপনিবেশের রাণী দিনু মনীর অধীন জমিদারি প্রথার তালুকদার। এফাজ উদ্দিন তালুকদার পারিবারিক বিদ্যালয় মেঘাই ইউসুফ উদ্দিন ইসলামিয়া বিদ্যালয় থেকে ১৯৩৯ সনে ম্যাট্রিকুলেশনে প্রথম, ১৯৪১ সনে বগুড়া আজিজুল হক কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েটে প্রথম, ১৯৪৩ সনে বগুড়া আজিজুল হক কলেজ থেকে বি,এ, ডিসট্রিংসন ও ১৯৪৬ সনে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিষয়ে এম,এ, তে দ্বিতীয় স্থান লাভকরেন।
ছাত্র অবস্হায়ই তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন সিরাজগঞ্জ মহুকুমার রতন কান্দি ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের আমির হোসেন মুন্সীর একমাত্র কন্যা খুরশিদ জাহানের সাথে। তার প্রয়াত শশুর ছিলেন বাগবাটি জমিদারের নায়েব ও একমাত্র সুমুন্দি প্রয়াত আবুল হোসেন মুন্সী ছিলেন প্রভাবশালী মুসলিমলীগের নেতা ও রতন কান্দি ইউনিয়নের ২৫ বছরের এক নাগারে চেয়ারম্যান।
এফাজ উদ্দিন তালুকদার পড়া লেখা শেষ করে প্রথমে সাবরেজিস্টার এরপর সার্কেল অফিসার ও সবশেষে মেঘাই কলেজ প্রতিষ্ঠা ও প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। অবসরে যাবার পর তিনি সিরাজগঞ্জ জেলা অবসরপ্রাপ্ত কল্যান সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি শজীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রথম দল জাগদলের সভাপতি ও গ্রামসরকারের দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রয়াত এফাজ উদ্দিন তালুকদারের ছেলে বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ,ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক টিএম তাহজিবুল এনাম তুষার জানান, আমাদের শতবর্ষীয় ঐতিহ্যবাহী তালুকদার পরিবারের অহংকার, আভিজাত্যের প্রতীক, আমার শৈশব-কৈশোর-যৌবনের স্মৃতিপটে চির ভাস্মর আমার পিতা।জনসেবা মানুষের এক মহৎ হৃদয়বৃত্তি, অনন্য মানবধর্ম। উদার মনের মানুষ আমার বাবা জনসেবার মাধ্যমে অনাবিল সুখ ও শান্তি খুঁজে পেতেন।
হ্রদয়ের হ্রতস্পন্দন আমার বাবা;২০০২ইং সনের ২রা মার্চ দিবাগত রাতের এই দিনে আমাদের ৮ ভাই, ৪ বোনকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান। ২ মার্চ ২০২৩ ছিল প্রয়াত এফাজ উদ্দিন তালুকদারের ২১তম মৃত্যু বার্ষিকী। তার ছেলে পরিবারের পক্ষ থেকে সবার কাছে তার বাবার জন্য দোয়া কামনা করেন।
Leave a Reply