1. sm.khakon@gmail.com : bkantho :
লাশ সামনে রেখে মিথ্যা স্বাক্ষ্য দেয়া নাজায়েজ : জুমার খুৎবায় মাওলানা সুফি আহমেদ - বাংলা কণ্ঠ নিউজ
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:২৬ পূর্বাহ্ন

লাশ সামনে রেখে মিথ্যা স্বাক্ষ্য দেয়া নাজায়েজ : জুমার খুৎবায় মাওলানা সুফি আহমেদ

এম এ মজিদ, হবিগঞ্জ
  • শুক্রবার, ৩ মার্চ, ২০২৩
  • ৯৮ বার পড়া হয়েছে
জানি না বলে ফরজ কাজ এড়িয়ে চলার সুযোগ নেই : মাওলানা মাহদী হাসানঅন্যের সমালোচনায় পারদর্শী : জুমার খুৎবায় মুফতি আব্দুল মজিদ

হবিগঞ্জ শহরের তেঘরিয়া আল হোসাইন (রা) জামে মসজিদে জুমার খুৎবায় মাওলানা সুফি আহমেদ বলেছেন আমরা অনেক সময় জানাযার নামাজের আগে লাশ সামনে রেখে মিথ্যা স্বাক্ষী দেই। আমরা অনেক সময় জানি, মৃত ব্যক্তি নিয়মিত নামাজ পড়তেন না, সুদ ঘুষ অপরাধের সাথে জড়িত ছিলেন, জানাযার নামাজের পূর্বে আমাদের মধ্য থেকে কোনো একজন জানতে চাইলেন, মৃত ব্যক্তি কি নামাজী ছিলেন, আমরা সমস্বরে বলি, জি, তিনি নামাজী ছিলেন, মৃত ব্যক্তি কেমন ছিলেন, আমরা বলি, ভাল মানুষ ছিলেন।

এই যে, আমরা লাশ সামনে রেখে, অনেক সময় মসজিদে দাড়িয়ে মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে মিথ্যা স্বাক্ষী দিলাম, আমাদেরকে এর জন্য জবাবদিহী করতে হবে। যিনি মৃত ব্যক্তিকে নামাজী, ভাল বলতে আমাদেরকে বাধ্য করেছেন, তার গুনাহ হবে সবচেয়ে বেশি। জানাযার নামাজের পূর্বে কাউকে ভাল বললেই তিনি বেহেশতী হয়ে যাবেন, আল্লাহর বেহেশত এতো সহজে পাওয়া যাবে না। আমরা যাদেরকে দৃশ্যত ভাল হিসাবে জানি তার সম্পর্কে এসব কথা বলা যেতে পারে। আবার জানাযার নামাজের পূর্বে এসব বলতেই হবে তা কিন্তু নয়।

একজন মানুষ মারা গেলে আমাদের মন থেকেই উচ্চারণটা চলে আসে, আহ, অমুক ব্যক্তি একজন ভাল মানুষ ছিলেন, অমুক ব্যক্তি মারা গেছে ভাল হয়েছে। এসব মন থেকে উচ্চারিত আফসোস ও আক্ষেপ আল্লাহ কবুল করতে পারেন।

তবে মৃত ব্যক্তি ভাল হউক আর খারাপ হউক, তার জন্য সকলের উচিত আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া। মাওলানা সুফি আহমেদ বলেন-পবিত্র কোরআন হাদিস দ্¦ারা প্রমানিত শবে বরাত একটি বরকতময় রাত। এই রাতে আমাদের উচিত ইবাদতে মশগুল থাকা, দিনে রোযা রাখা, ওই রাতে কবরস্থানের পাশে গিয়ে দোয়া করা সুন্নত। রাসুল (সা) নিষ্পাপ ছিলেন, সব নবী রাসুল (আ)ই নিষ্পাপ। নবী রাসুল গন প্রতিনিয়ত তাওবা পাঠ করতেন। আমাদের উচিত বেশি বেশি তাওবা পাঠ করা। তিনি বলেন- আমাদের অনেকে বৃদ্ধ বয়সে এসে হুজুরকে ডেকে এনে তাওবা পাঠ করেন।

যখনই গোনাহ করবেন, তখনই তাওবা করতে হবে, তাওবার শর্ত হচ্ছে আর এধরনের পাপকাজে ফিরে না যাওয়া। বৃদ্ধ বয়সে এসে তাওবা পাঠের সুযোগ নাও পেতে পারেন, বৃদ্ধ বয়সের তাওবা কবুল হবার কোনো গ্যারান্টিও নেই। ছাখরাতের সময় আমাদের অনেকে মৃতপথযাত্রীকে জোর করে কালেমা পাঠ করানোর চেষ্টা করি। এটা নিতান্তই ভুল। আপনি তার পাশে কালেমা পাঠ করতে পারেন, তবে জোর করে তাকে কালেমা পাঠ করাতে যাবেন না।

কারণ তার মৃত্যু যন্ত্রণা শুরু হয়ে গেছে। আপনার চাপাচাপিতে যদি ওই ব্যক্তি বলে ফেলে, রাখেন আপনার কালেমা, আমি কষ্ট সহ্যই করতে পারছি না, তাহলে ওই ব্যক্তি বেঈমান হিসাবে মৃত্যুবরণ করল। ৪২ মিনিটের জুমার খুৎবায় মাওলানা সুফি আহমেদ- ইসলামী আকিদার সাথে সাংঘর্ষিক সমাজে প্রচলিত কিছু রীতিনীতি সকলকে পরিহার করার আহবান জানান।

 

এম এ মজিদ, হবিগঞ্জ, ৩ মার্চ ২০২৩
০০১৭১১-৭৮২২৩২

সামাজিক মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর
Developer By Zorex Zira

Designed by: Sylhet Host BD