1. sm.khakon@gmail.com : bkantho :
জামিন পাননি বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপের স্ত্রী চুমকি - বাংলা কণ্ঠ নিউজ
শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২৮ পূর্বাহ্ন

জামিন পাননি বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপের স্ত্রী চুমকি

ডেস্ক নিউজ
  • সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে
জামিন পাননি বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপের স্ত্রী চুমকি
জামিন পাননি বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপের স্ত্রী চুমকি। ছবিঃ সংগৃহীত

টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের দণ্ডিত স্ত্রী চুমকি কারণকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় জামিন দেননি হাইকোর্ট।

সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো: আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ তাকে জামিন না দিয়ে ২১ বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক প্রস্তুত করতে বলেছেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাহবুব শফিক।

অ্যাডভোকেট আসিফ হাসান জানান, দণ্ডের পর চুমকি কারণ আপিল করলে গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর আদালত আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। এর মধ্যে জামিন আবেদন করে। শুনানি শেষে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আদেশের জন্য আজ সোমবার দিন রাখেন। আজকে আদালত মৌখিকভাবে জামিন না দেয়ার কথা বলে আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক প্রস্তুত করতে বলেছেন।

গত বছরের ২৭ জুলাই এই মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের ২০ বছর ও তার স্ত্রী চুমকি কারণকে ২১ বছর কারাদণ্ড দেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬ (২) ধারায় চুমকিকে ১ বছর কারাদণ্ড, ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাস কারাদণ্ড, ২৭ (১) ধারায় প্রদীপ ও চুমকিকে ৮ বছর কারাদণ্ড, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারায় প্রদীপ ও চুমকিকে ১০ বছর কারাদণ্ড ও ৪ কোটি টাকা জরিমানা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় প্রদীপ ও চুমকিকে ২ বছর কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ২ মাস কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। প্রত্যেক কারাদণ্ড একসাথে চলবে।

গত বছরের ১৮ জুলাই চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে এ মামলায় দুদকপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। এরপর বিচারক ২৭ জুলাই রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

মামলার শুরু থেকে চুমকি কারণ পলাতক থাকলেও গত বছরের ২৩ মে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণের শেষ দিন তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। সেই থেকে কারাবন্দি চুমকি কারণ।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই টেকনাফের বাহারছড়া তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো: রাশেদ খান। এই হত্যা মামলায় গত বছরের ৩১ জানুয়ারি প্রদীপসহ দুজনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে।

এর মধ্যে ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট দুদকের সহকারী পরিচালক মো: রিয়াজ উদ্দিন অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগে প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে তিন কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়। তদন্তের পর টাকার অংকে কিছু পরিবর্তন আনা হয়। ২০২১ সালের ২৮ জুলাই দুদকের সহকারী পরিচালক মো: রিয়াজ উদ্দিন অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর আসামি প্রদীপের উপস্থিতিতে অভিযোগপত্রের শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। সম্পদ বিবরণীতে ৪৯ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৭ টাকা সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দেয়া এবং ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জন ও হস্তান্তরের অভিযোগ আনা হয়।
সূত্র : বাসস

সামাজিক মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর
Developer By Zorex Zira

Designed by: Sylhet Host BD