হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার ৫নং দৌলতপুর ইউনিয়নের মার্কুলি বাজারে এক মাদকসেবীর হাতে জাহাঙ্গীর মিয়া (৪১) নামে এক নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহত জাহাঙ্গীরের বাড়ি কিশোরগঞ্জে। গত সোমবার (৩০জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮ঘটিকার সময় বানিয়াচং উপজেলার মার্কুলি বাজারের দুলাল ভ্যারাইটিজ স্টোরে এ ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়,উল্লিখিত সময়ে কনস্টেবল শাওন ও জাহাঙ্গীর দোকানে বসা ছিলেন। এসময় হুট করে ভবঘুরে মাদকসেবী পলক দাস এসে জাহাঙ্গীরের মাথার ডান দিকে স্টিলের টেইপ দিয়ে সজোরে আঘাত করে। এক পর্যায়ে দোকানের বাহিরে গিয়ে অপর পুলিশ সদস্য পলক দাসকে ধরে ফেলেন।
এমতাবস্থায় দস্তাদস্তির একফাঁকে পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর মাটি পড়ে যান।
পরে এলাকাবসী তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য স্থানীয় একটি ফার্মেসীতে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার বেগতিক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাত সাড়ে ৯টার দিকে অ্যাম্বুলেন্স যোগে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর। রাতেই নিহত জাহাঙ্গীরের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুশিল সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) পলাশ রঞ্জন দে ও বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ অজয় চন্দ্র দেব। পরে আটক পলক দাসকে বানিয়াচং থানায় নিয়ে আসা হয়। পলক দাস ওই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের শাখাইতি গ্রামের ক্ষীর মোহন দাসের পুত্র।
বানিয়াচং উপজেলার ৫নং দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মঞ্জু কুমার দাস জানান, ঘটনার কয়েকদিন পূর্বে পলক দাসকে গাঁজা সেবন করতে দেখলে, তিনি তাকে গাঁজা সেবন না করার উপদেশ দিয়ে শাসন করেন। এ শাসনের ক্ষোভ থেকেই পলক দাস কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলমকে হত্যা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান,গত ৭/৮মাস পূর্বে টাঙ্গাইল থেকে প্রেষণে নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে যোগদান করেন নিহত জাহাঙ্গীর।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) পলাশ রঞ্জন দে গণমাধ্যমকে জানান, কি কারণে জাহাঙ্গীরকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট করে কোনো কিছু বলা যাচ্ছেনা। এ নিয়ে তদন্ত চলছে।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply