উন্নয়ন কাজ না করে সমুদয় টাকা আত্বসাতের অভিযোগে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে লাখাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা) মোহাম্মদ জাহানকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জের দায়রা জজ মোঃ হাসানুল ইসলাম প্রকল্প কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহানকে জেল হাজতে প্রেরনের আদেশ দেন।
লাখাই উপজেলার বামৈ ইউনিয়নের কাবিখা-২য় পর্যায়ের একটি রাস্তা, কাবিটা ১ম পর্যায়ের একটি রাস্তা এবং টিআর ২য় পর্যায়ের ১টি রাস্তার উন্নয়ন কাজ এর একটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। প্রকল্প অনুমোদনের পর প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে মর্মে সরকারের ৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা উত্তোলনও করা হয়। অথচ কোনো উন্নয়ন কাজই করা হয়নি। বিষয়টি লিখিতভাবে দুদককে অবহিত করেন বামৈ ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার মোঃ ইকবাল মিয়া। দুদক বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে। তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পেলে এব্যাপারে মামলা দায়ের করার অনুমতি দেয় দুদক।
পরে দুদকের হবিগঞ্জ অঞ্চলের উপ সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শোয়ায়েব হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় লাখাই উপজেলা প্রকল্প পরিচালক সিলেটের গোলাপগঞ্জের পূর্ব ভাদেম্বর গ্রামের ছালেক মিয়ার পুত্র মোহাম্মদ জাহান, বামৈ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হক মামুন, লাখাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার ধনারামা গ্রামের জিল্লুর রহমানের পুত্র জাহাঙ্গীর আলম, একই কার্যালয়ের অফিস সহকারী সুনামগঞ্জের শাল্লা থানার আটগাও গ্রামের হাছেন আলীর পুত্র হাবিবুর রহমান ও অফিস সহায়ক রাজশাহী জেলার রাজপাড়া থানার ভাটাপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর পুত্র গোলাম কিবরিয়াকে অভিযুক্ত করে মামলার চার্জশীট দাখিল করা হয়। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহান হাইকোর্টে আগাম জামিন প্রার্থনা করলে হাইকোর্ট তাকে ৬ সপ্তাহের জামিন প্রদান করেন।
১২ জানুয়ারী মোহাম্মদ জাহান দায়রা জজ আদালতের বিশেষ মামলা নং ৯/২১ মামলায় জামিন আবেদন করলে বিশেষ আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ হাসানুল ইসলাম প্রকল্প কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহানের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরনের আদেশ দেন।
একই মামলার অন্য আসামীদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়েছে। এব্যাপারে দুদকে প্রথম অভিযোগকারী ইউপি মেম্বার মোঃ ইকবাল বলেন- কোনো কাজ না করে সমুদয় টাকা আত্বসাতের ঘটনা বিরল। দুদক তদন্ত করে আমার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে, আসামীরা এবার দুদক আইনে সর্বোচ্চ সাজা পাবে এটাই কাম্য। দুদকের মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী এডভোকেট হাবিবুর রহমান জানান- দুর্নীতি করে যাতে কেউ ছাড় না পায় সেটা নিশ্চিত করাই দুদকের কাজ।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply