
নবীগঞ্জে ভূয়া ওয়ারিশয়ান সেজে দেবােত্তর সম্পত্তি দখলের পায়তারা করছেন সদর ইউনিয়নের আদিত্যপুর গ্রামের মৃত বিধু ভূষন শর্ম্মা চৌধুরীর পুত্র বিনয় ভুষন শর্ম্মা চৌধুরীর নামজারী আবেদন বাতিলের দাবীতে এলাকার হিন্দু মুসলিম ৩ শতাধিক লোক স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ করেন নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমির নিকট।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ৮নং সদর ইউনিয়নের কানাইপুর মৌজার জেএলনং ৮৫/৮৮, এস.এ ও আর.এস খতিয়ান নং-১, এস.এ দাগ নং ১০৯১, আর.এস দাগ নং ১২৯৩, মোয়াজী ৫ শতক দেবস্থান রকম ভুমিতে আদিত্যপুর ও বাজে কানাইপুর গ্রামের হিন্দু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের লোকজন মহাদেব গাছতলা হিসাবে ধর্মীয় কার্যাদি সম্পাদন করে সার্বজনীনভাবে দীর্ঘ ৮৯ বছর ধরে পূজার্চনাসহ ধর্মীয় কার্যাদি সম্পাদন করে আসছে।
উক্ত ভূমির মালিক মৃত শশী চৌধুরী, সাং আদিত্যপুর তাহার জীবদ্দশায় এস.এ জরীপ পূর্ববতী সময়ে আদিত্যপুর, বাজে কানাইপুরে স্থায়ীভাবে পূজার্চনা করার জন্য ও মহাদেব মন্দির নির্মাণের লক্ষ্যে তাহার নিকট প্রস্তাব করিলে তিনি মৌখিকভাবে মহাদেবের নামে উক্ত ভূমি দান করে এস.এ রেকর্ডে ১নং খতিয়ানে দেবস্থান রেকর্ড করাইয়া গ্রামবাসীকে সমজিয়ে দেন এবং ইহার পাশ্ববর্তী এস.এ খতিয়ান নং ৩৫৭, আর.এস খতিয়ান নং ১/১, এস.এ দাগ নং ১০৯২, আর.এস দাগ নং ১২৯৪, মোয়াজী ১৭ শতক ভূমি গ্রামবাসীকে সমজিয়ে দেন।
পরবর্তীতে গ্রামবাসী বর্ণিত ভূমিতে ভোগ দখল করে পঞ্চায়েতী অর্থে একাধিকবার মাটি ভরাট করিয়া ও পুকুর খনন করিয়া দেবস্থানের পুকুর হিসাবে ভোগ ব্যবহার করিয়া ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ও সরকারী অর্থে শিব মন্দির নির্মাণ করে ম পূজার্চনা করে আসছেন। গ্রামবাসীর কাছ থেকে জানাযায়, উক্ত সমরেন্দ্র চৌধুরীর কোন ওয়ারিশ দাবীদার নেই। কিন্তু একটি কুচক্রি মহল সংঘবদ্ধঅভাবে আদিত্যপুর গ্রামের মৃত- বিধু ভূষন শর্ম্মা চৌধুরীর পুত্র বিনয় ভুষন শর্ম্মা চৌধুরীকে উক্ত দেবোত্তর ভূমি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে ওয়ারিশয়ান সাটিফিকেট দেখিয়ে নিজ নামে নামজারী করার পায়তারা করছে।
প্রকৃতপক্ষে উক্ত বিনয় ভুষন শর্ম্মা চৌধুরী, সমরেন্দ্র চৌধুরীর কোন প্রকার ওয়ারিশ নহে। উপরোল্লেখিত ভূমিতে সনাতন ধর্মীয় সম্পদায়ের লোকজন শতবর্ষের অধিক সময় ধরে ধর্মাচার পুজা অর্চনা করে আসছেন। তাই যাতে করে ভূয়া ওয়ারিশয়ান নিয়ে আদিত্যপুর গ্রামের মৃত- বিধু ভূষন শর্ম্মা চৌধুরীর পুত্র বিনয় ভুষন শর্ম্মা চৌধুরীর আবেদন নং ২০০০১২৭৭ নামে নামজারী মোকদ্দমা বাতিলের দাবীতে এলাকার ৩ শতাধিক লোক ২৯ আগষ্ট সোসবার স্বাক্ষরিত একটি লিখিত আবেদন করেন নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমির নিকট দাখিল করেন। গ্রামবাসী জানান উক্ত দেবোত্তর ভুমি অবৈধভাবে নামজারী করলে ঐ গ্রামে ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্টসহ যেকোন ধরনের সংঘাতের আশংকা রয়েছে া এ ব্যাপারে গ্রামবাসী উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
Leave a Reply