1. sm.khakon@gmail.com : bkantho :
মা বাবার দোয়া,এতিমদের খাওয়ানো, শেষ রাতের মোনাজাত আল্লাহর কাছে অনেক প্রিয় ॥ মুফতি আব্দুল মজিদ - বাংলা কণ্ঠ নিউজ
সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৭ অপরাহ্ন

মা বাবার দোয়া,এতিমদের খাওয়ানো, শেষ রাতের মোনাজাত আল্লাহর কাছে অনেক প্রিয় ॥ মুফতি আব্দুল মজিদ

এম এ মজিদ, হবিগঞ্জ
  • শুক্রবার, ২৬ আগস্ট, ২০২২
  • ৩৩৩ বার পড়া হয়েছে
মানুষ নিজের সমালোচনায় গাফেল অন্যের সমালোচনায় পারদর্শী : জুমার খুৎবায় মুফতি আব্দুল মজিদ

হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরীবাজার জামে মসজিদে জুমার খুৎবায় মুফতি আব্দুল মজিদ বলেছেন- মা বাবার দোয়া, এতিমদের খাওয়ানো এবং শেষ রাতের মোনাজাত আল্লাহর কাছে অনেক প্রিয়। এসব গুন যদি একজন কাফেরেরও থাকে তবুও সে আল্লাহর ধ্বংস থেকে সাময়িকভাবে রক্ষা পেতে পারে।

ফেরাউন ছিল আল্লাহর লানত প্রাপ্ত। কিন্তু তার মধ্যে কিছু ভাল অভ্যাস ছিল। ফেরাউনের মা তার জন্য নিয়মিত দোয়া করতেন, ফেরাউন নিয়মিত এতিমদের খাওয়াতো, ফেরাউনের আরেকটি অভ্যাসের মধ্যে ছিল গভীর রাতে একটি নির্জন পাহাড়ের চুড়ায় উঠে আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করতো। আল্লাহর নবী মূসা (আ) বললেন- হে আল্লাহ, ফেরাউন এতো খারাপ, তোমার, দুশমন তাকে কেন ধ্বংস করা হচ্ছে না।

আল্লাহ বললেন- ফেরাউনের জন্য তার মা দোয়া করছেন, মায়ের দোয়া আমি ফিরিয়ে দেই না, ফেরাউন এতিমদের ভালবাসে, সে এতিমদের খাওয়ায়, যারা এতিমদের খাবার দেয়, তাকে আমি ধ্বংস করি না, ফেরাউন গভীর রাতে নির্জন পাহাড়ে উঠে আমার কাছে দোয়া করে, যারা গভীর রাতে আমার কাছে দোয়া করে, কিছু চায় তাকে আমি ফিরিয়ে দেই না, ধ্বংসও করি না।

যখন ফেরাউনের এসব ভাল অভ্যাস ত্যাগ করলেই তাকে ধ্বংস করা হবে। ফেরাউন রাষ্ট্রের ক্ষমতা পেল, রাষ্ট্রের কাজ করতে গিয়ে ব্যস্ততায় আস্তে আস্তে সে গভীর রাতে দোয়া করার অভ্যাস ছেড়ে দিল, এতিমদের নিয়মিত খাবার খাওয়ানোও বন্ধ করে দিল। একটা সময় আল্লাহ তাকে ধ্বংস করে দিলেন।

মুফতি আব্দুল মজিদ বলেন- আমরা গভীর রাতে দোয়া করা ছেড়ে দিয়েছি, এতিমদেরকে ভালবাসাও কমিয়ে দিয়েছি, আগেকার জামানার বুজুর্গানরা রাতের প্রথম অংশে ঘুমাদের, রাতের শেষ অংশে তাহাজ্জুদ পড়তেন, ফজরের নামাজ জামাতে আদায় করতেন, ফজরের পরে তালিম দিতেন।

এখন আমরা মধ্যরাত পর্যন্ত টিভি দেখি, ফেইসবুক চালাই, শেষ রাতে ঘুমাতে যাই, সকাল পর্যন্ত ঘুমাই, তাহাজ্জুদ নাই, শেষ রাতে দোয়া নাই, ফজরের নামাজ নাই। এসব হচ্ছে আমাদের ধ্বংসের কারণ। তিনি বলেন- এমন কোনো নবী রাসুল পাওয়া যাবে না, যারা ইসলামের জন্য কষ্ট করেননি। তাদের জীবনে কষ্টের পরিমান ছিল বেশি, সুখের পরিমান ছিল কম।

আমাদের রাসুল (সা) এর জীবন ছিল খুবই কষ্টের। জন্মের আগে বাবা হারিয়েছেন, জন্মের পর মা হারিয়েছেন, গরীব অসহায় মহিলার দুº পান করেছেন, দাদা চাচার হাতে বড় হয়েছেন। সর্বোপুরি তিনি তার জীবনে ৩ পুত্র ও ৩ কন্যা সন্তানকে হারিয়েছেন। এতো কষ্ট, এতো দুঃখের পরও তিনি ছিলেন সর্বোচ্চ ধৈর্য্যশীল। মুফতি আব্দুল মজিদ সকলকে ধৈর্য সহকারে জীবন পরিচালনার আহবান জানান।

লেখকঃ আইনজীবি ও সাংবাদিক

২৬ আগষ্ট ২০২২
০১৭১১-৭৮২২৩২

সামাজিক মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর
Developer By Zorex Zira

Designed by: Sylhet Host BD