সিরাজগঞ্জে কবিরাজি চিকিৎসার নামে গণহারে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের। কবিরাজি চিকিৎসার নেই কোন বৈধ লাইসেন্স বা অনুমোদন। প্রশাসনকে তোয়াক্কা উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের আলোকদিয়া গ্রামের মোঃ শফিকুল ইসলামের স্ত্রী সেই আলোচিত অসাধু লালবানুর (৫০) দেখা যায় অপকর্মের দৃশ্য। বিশ্বে চিকিৎসা বিজ্ঞান উন্নত হওয়া সত্বেও বিশ্বাস মেলেনি অসাধু কবিরাজ লালবানুর।
তিনি নিজেকে সকল রোগীর চিকিৎসক হিসেবে দাবি করেন। পেট ব্যথা, বান মারা, চুরি হওয়া টাকা বা মালপত্র খুঁজে দেওয়া, জীন পরীর আচর, বিয়ে না হওয়া, স্বামী স্ত্রীর বিচ্ছেদ, ভালোবাসার বন্ধন, বাচ্চা না হওয়া, চাকরি না হওয়া, ব্যবসা বানিজ্যের উন্নতি লোহার পেরাক, পানি পরা, তৈল পরা, তাবিজ দ্বারা এমনকি দুর থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কল দিয়ে দুরবর্তী রোগীকে নানান কৌশলে চিকিৎসা দিচ্ছেন লালবানু। এভাবেই চিকিৎসার নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। প্রতারণার স্বীকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
লালবানু বলেন, আমার শরীরে জ্বীন ভর করে। আমি যাঁরা ফুঁক যা দেয় তাতেই যেকোনো রোগ ভালো হয়ে যায় এবং সকল মনের আশা পুরন হয়। আমার এলাকাসহ দূরদুরান্ত মানুষকে আমি চিকিৎসা দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেন, বিভিন্ন পানি পরা ও যারা ফুঁকের মাধ্যমে মানুষকে ঠকানো হচ্ছে। এমনকি মোটা অংকের টাকা নেন তিনি। গ্যারান্টি দিয়ে চিকিৎসার দেওয়ার নাম করে চিকিৎসার পর কাজ না হলে রোগীরা টাকার দাবি করলে উল্টো বান মারা ও জ্বীনের ভয়দেখান তিনি। এভাবেও মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে জানাযায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ চাঁদ আলী বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ এই লালবানু কবিরাজি চিকিৎসা দিচ্ছেন। আমার জানামতে কবিরাজির কোন বৈধ লাইসেন্স নেয়। যদি এই চিকিৎসার আইনতভাবে বৈধ না হয় এবং সাধারণ মানুষ প্রতারণার স্বীকার হলে অবশ্যই স্থানীয় প্রশাসন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
Leave a Reply