হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ছোট বহুলা জামে মসজিদে জুমার খুৎবায় মাওলানা শাইকুল ইসলাম বলেছেন- আল্লাহর কাছে চোখের পানির অনেক মূল্য। যারা আল্লাহর ভয়ে, মৃত্যুর ভয়ে, দোযখের আগুনের ভয়ে, কবরের আযাবের ভয়ে, সর্বোপুরি নিজের যাবতীয় গোনাহের ভয়ে নিরবে নিবৃতে চোখের পানি ফেলে তাদের জন্য দোযখের আগুনকে হারাম করে দেয়া হয়েছে। চোখের পানিতে দোযখের আগুনকে নিভিয়ে দেয়া হবে। চোখের পানি কাপড় দিয়ে বা টিস্যু দিয়ে মুছবেন না, হাত দিয়ে চোখের পানি মুখে মাখিয়ে দেবেন, সেউ মুখ হাশরের দিন উজ্জল থেকে উজ্জলতর হবে, ফুলসিরাতের পুল পাড়ি দিতে সহযোগিতা করবে।
তিনি বলেন- বিনয় একটি অন্যতম গুন। রাসুল (সা) নিজে বিনয়ী ছিলেন। বিনয় মানুষের মর্যাদা বাড়িয়ে দেয়। কোনো কিছুতে রাগান্বিত হওয়া যাবে না। শয়তান মানুষকে বিনয়ী হতে বাধা দেয়, রাগান্বিত করে। সেই শয়তানী খাসলত ত্যাগ করতে হবে। শয়তান ছিল ফেরেশতাদের শিক্ষক। ৬শ বছরেরও বেশি সময় শয়তান ফেরেশতাদের শিক্ষক ছিলো। আল্লাহ তাকে নত হতে বললেন।
সে নত হয়নি, বিনয়ী হয়নি। আল্লাহ তাকে অভিশপ্ত ঘোষনা করলেন। শয়তান আল্লাহর কাছে একটি আবেদন করে বলে, হে আল্লাহ, আমাকে এমন শক্তি দাও যাতে আমি মানুষের শিরায় শিরায় চলতে পারি, মানুষকে কুমন্ত্রণা দিতে পারি। আল্লাহ তাকে সে শক্তি দিয়ে এও জানিয়ে দিলেন, আমার উপর ঈমান আনা, রাত জেগে আমার ভয়ে চোখের পানি ফেলা মানুষগুলোকে তুমি পথভ্রষ্ট করতে পারবে না। গুনাহ করেও যদি কোনো মানুষ শুধু আমার ভয়ে ঈমানের সাথে তওবা করে আমি তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেব।
আল্লাহর এমন ঘোষনায় শয়তান বিমর্ষ হয়ে গেল। রাসুল (সা) নিস্পাপ ছিলেন, অথচ তিনি দিনে ৭০ থেকে ১শ বার ইস্তেগফার পড়তেন। আমরা গুনাহগার, আমাদের নূন্যতম ৭০ থেকে ১শ বার ইস্তেগফার পাঠ করা উচিৎ। তওবা ইস্তেগফারের অনেক দাম। মাওলানা শাইকুল ইসলাম বলেন- কেয়ামতের দিন অনেক পণ্য মিজানের পাল্লায় তুলা হবে। মিজানের পাল্লায় উত্তম চরিত্রের ওজন হবে অনেক বেশি।
তিনি সকল মা বাবাকে তাদের সন্তানদের উত্তম চরিত্রবান হিসাবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানান। ২০ মিনিটের জুমার খুৎবায় মাওলানা শাইকুল ইসলাম রাসুল (সা) এর তরিকা মোতাবেক ঈবাদত বন্দেগী করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
-এম এ মজিদ, হবিগঞ্জ ২৯ জুলাই ২০২২
০১৭১১-৭৮২২৩২
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply