হবিগঞ্জ সদর থানা মসজিদে ২২ জুলাই শুক্রবার জুমার খুৎবায় মাওলানা আব্দুল মোছাব্বির বলেছেন, যারা এলিম অনুযায়ী যারা আমল করে তারা হক্কানী আলেম। হাশরের ময়দানে আল্লাহ তাদেরকে বিশেষ সম্মানের সাথে আহবান করবেন। এক ধরনের আলেম আছেন যারা আমলের ব্যাপারে খুবই গাফেল।
তারা দুনিয়ার লোভ লালসায় পড়ে তাদের জ্ঞানকে বিক্রি করে দেন। তাদেরকে শাস্তি ভোগ করতেই হবে। হক্কানী আলেম ওলামাদের দুনিয়ার প্রতি লোভ থাকতে পারে না, টাকা পয়সার প্রতি অতিরিক্ত মোহ থাকতে পারে না। মাদ্রাসা পড়নেওয়ালা ছাত্রদেরকে আল্লাহ তার রহমতের ছায়ার তলে রাখেন।
যারা মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে তাদের চলাচলের রাস্তায় আল্লাহ ফেরেশতাদের মাধ্যমে নুরের বিছানা বিছিয়ে দেন। ইমাম গাজ্জালী রাঃ এর অন্যতম উদাহরণ হতে পারেন। মাদ্রাসায় পড়ে যারা আলেম হন তারা ওয়ারিসাতুল আম্বিয়া বা নবী রাসুল (সা) এর প্রতিনিধি। তাদের মাধ্যমে যোগযোগ যাবত ইসলামের প্রসার লাভ করেছে এবং করবে। দুনিয়া এবং আখেরাতে রয়েছে তাদের উচ্চ সম্মান।
এক শ্রেণীর মানুষ আছে যারা আলেম না, কিন্তু আলেমদেরকে ভালবাসেন, তাদের দেখানো পথে চলেন, ফরজ তরক করেন না, সুন্নত ছাড়েন না, তাদেরকে আল্লাহ আলেমদের সাথে বেহেশত নসিব করবেন। ব্যবসা করার আগে আলেমদের পরামর্শ নেন, ব্যবসায় বরকত আসবে, চাকুরী করার আগে আলেমদের জিজ্ঞাসা করেন, জেনে নেন, আপনার পছন্দের চাকুরী করাটা ইসলামের দৃষ্টিতে জায়েজ হবে কি না, তাতে বরকত হবে, এমন কি জীবন চলার পথে প্রতিটি ক্ষেত্রে আলেমদের পরামর্শ নেন, জীবন পাল্টে যাবে, দুনিয়া ও আখেরাত দুটিই পাবেন।
তিনি বলেন- আল্লাহর রাসুল (সা) এর সকল সাহাবী নিস্পাপ। আবু বকর (রা) থেকে শুরু করে সর্বশেষ যে সাহাবী ইমানের সাথে রাসুল (সা) এর সাথে মুসাফাহ করেছেন তিনি পর্যন্ত নিস্পাপ। আশুরা মাস আসছে, দেখবেন কিছু অজ্ঞ লোক কোনো কোনো সাহবী (রা)কে গালিগালাজ করছে। আমিরে মুআবিয়া (রা) আল্লাহর রাসুল (সা) এর অন্যতম সাহাবী।
কে কার পিতা কে কার সন্তান সেটা দেখার বিষয় নয়। মূল বিষয় হচ্ছে তিনি আল্লাহর রাসুল (সা) এর সাহাবী কি না। কোনো সাহাবী কে গালি দেয়া যাবে না। ৩৬ মিনিটের জুমার খুৎবায় মাওলানা আব্দুল মোছাব্বির আলেমদের পরামর্শে নিজেদের জীবনকে আরও সুন্দর করে গড়ে তুলার উপর গুরুত্বারুপ করেন।
লেখকঃ সাংবাদিক ও আইনজীবি
তারিখঃ ২২ জুলাই ২০২২
০১৭১১-৭৮২২৩২
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply