ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার দম্পতি এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য) ও মেডিকেল অফিসার সাদ্দাম হোসেন ও খন্দকার মহিমা সুলতানা সাধারণ মানুষের কাছে এখন গরীবের ডাক্তার হিসেবে পরিচিত।
ডাক্তার দম্পতি সাদ্দাম-মহিমার আচার-ব্যবহার ও সেবায় মুগ্ধ ও সন্তুষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীরা। গরীব-অসহায়দের বিনামূল্যে ঔষধ দেয়াসহ নিচ্ছেন না ভিজিটের টাকা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অধ্যয়ন করা মা ও শিশু, চর্ম ও যৌন এবং গ্যাস্ট্রোলিভার রোগে অভিজ্ঞ মেডিসিন, ডায়াবেটিস, বাতব্যথা রোগে অভিজ্ঞ ডাক্তার সাদ্দাম হোসেন ও গাইনী ও প্রসুতী, মেডিসিন, হরমোন, মা ও শিশু রোগে অভিজ্ঞ ডাক্তার খন্দকার মহিমা সুলতানা দম্পতি গরীব, অসহায় মানুষের কাছ থেকে চেম্বারে নেন না কোন ভিজিটের টাকা। প্রয়োজনে বিনামূল্যে প্রদান করছেন ঔষধ ও চিকিৎসা সেবা।
আবুল কালাম নামে একজন স্বাস্থ্য সেবা প্রত্যাশী রোগী জানান, ডাক্তার সাদ্দাম স্যারের ব্যবহার অনেক ভাল। তিনি যেভাবে আমার সমস্যাটি দেখেছেন অন্য কোন ডাক্তারকে এভাবে দেখতে দেখি নাই।
নাসরিন আক্তার নামে একজন গর্ভবতী নারী জানান, ডাক্তারদেরকে আপা বললে অনেকেই রাগ করেন কিন্তু ডাক্তার মহিমা ম্যাডাম অনেক ভাল মানুষ। আমি উনাকে আপা বলে ডাকলে তিনি আমাকে আপা ডাকতেই বলেন।
শাহালম নামে একজন রোগী জানান, উনি (ডাক্তার সাদ্দাম) আমাদের গরীবের ডাক্তার। টাকার জন্য ঔষধ কিনতে পারি নাই অথচ উনি আমাকে ফ্রিতে ঔষধ দিয়ে দিয়েছেন। আল্লাহ উনার ভাল করুক।
ডাক্তার সাদ্দাম হোসেন জানান, গরীব, অসহায়-হতদরিদ্র মানুষের জন্য আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করি ভাল সেবা দেয়ার। তাছাড়া অনেক রোগীই আছেন যারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকায় গিয়ে চিকিৎসা করা সম্ভব না তাদেরকে চেষ্টা করি নবীনগরের রেখে ভাল করে তুলার। হাসপাতালের বাইরে আমি কোথাও বসলে গরীব-অসহায় মানুষের কাছ থেকে কোন ভিজিট নেই না। অনেকে আছেন যাদের ঔষধ কেনারও টাকা থাকে না। আমি চেষ্টা করি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী বিনামূল্যে ঔষধ প্রদান করার। আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন যেন আল্লাহ আমাদের মাধ্যমে রোগীদের সুস্থ্য করে তুলার সৌভাগ্য দান করেন।
ডাক্তার খন্দকার মহিমা সুলতানা জানান, আমাদের দেশের গরীব-অসহায় মানুষদের যদি আমরা ভাল সেবা না দেই তাহলে তারা যাবে কোথায়! আমরা চেষ্টা করি তারা যেন দ্রুত সুস্থ্য হয়ে উঠেন। আমি একজন নারী হয়ে একজন দুঃস্থ, অসহায় ও নারীদের সেবা ও পরামর্শ দিতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমাদের মফস্বলের নারীরা যেন আমাদের কাছে নিজেদের গোপনীয় সমস্যা খোলেমেলা ভাবে বলতে পারেন ও আমরা যেন সঠিক সেবা দিতে পারি সেজন্য তাদের সাথে আমরা নিজেদের পরিবারের সদস্যদের মতন ব্যবহার করার চেষ্টা করি।
ডাক্তার দম্পতি সাদ্দাম ও মহিমার ব্যবহারে সন্তুষ্ট নবীনগরের নেটিজেনরা তাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
Leave a Reply