নবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছাবির আহমেদ চৌধুরী ও তার সহযোগী আফতাব আল মাহমুদের দুর্নীতি ও জালিয়াতির বিরুদ্ধে এবার দুদকে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীর খালাতো ভাই তাজ উদ্দিন তালুকদার। গত রবিবার ১৯ জুন দুপুরে তিনি এ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করেন ছাবির আহমেদ চৌধুরী নবীগঞ্জে ব্র্যাক ব্যাংক, অগ্রণী, ডাচ বাংলা, এনসিসি ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকের একাউন্ট জব্দ করার দাবি জানান। অভিযোগে তিনি আরও বলেন, তার ভাইয়ের চেক ও দলিল, মা এশা বেগমের পাসপোর্ট এবং ২০ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা চুরি করে নিয়ে যান ছাবির আহমেদ চৌধুরী ও আফতাব আল মাহমুদ। তাছাড়া ছাবির আহমেদ চৌধুরী ১৯৯৯ সনের মার্চ মাসের নির্বাচনী হলফনামায় আয় ব্যায়ের যে তথ্য উল্লেখ করেছেন বর্তমানে তার ১ শ গুণ সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে ছাবির আহমেদ চৌধুরী, আফতাব আল মাহমুদসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে দুইটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় উল্লেখ করা হয় ২নং আসামি প্রভাবশালী ও স্থানীয় হওয়ায় তার অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে বাদির ভাইয়ের সাথে চরম প্রতারণা করে কয়েক কোটি টাকা ও জাল দলিল তৈরি করে উপজেলার রসুলপুর মৌজার সাবেক জেএলনং ১৬৯, হাল জেএলনং ১৭২, সাবেক খতিয়ান ৬/১, হাল খতিয়ান নং ৬৯৪, ডিপি খতিয়ান নং ৬৯৪,৩০৩, সাবেক দাগ ১৪৮, হাল দাগ ৪৫৩, মোয়াজী ১৩ একর ৯৮ শতক লায়েক পতিত, পুকুর ও ফিসারী রকম ভূমি আত্মসাৎ করেন। এ বিষয়ে বাদি প্রতিবাদ করলে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
গত ৪ জুন শনিবার বিকালে আসামিরা বাদিকে প্রাণে হত্যার জন্য আক্রমণ করে। পরে সে কোনো রকমে প্রাণে রক্ষা পায়। এরপর থেকে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, মামলা মোকদ্দমার কারণে হত্যা করে খুন করে লাশ গুম করে ফেলতে পারে। এ ছাড়া তার খালাতো ভাই সৌদি প্রবাসী আব্দুল মালিক দীর্ঘদিন ধরে স্বপরিবারে সৌদি বসবাস করছেন।
আসামিদের নিকট তার বাড়ির সকল সম্পত্তি ও ব্যবসা বাণিজ্য দেখাশুনার দায়িত্ব দেয়া হয়। তারা বাদির ভাইয়ের সাথে প্রতারণা করে জালিয়াতির মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা আত্মসাত করেন। এমনকি একই উপায়ে তার সম্পত্তি আত্মসাত করেন। এ বিষয়ে বাদি প্রতিবাদ করলে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এ ছাড়া আসামিরা তার ফিসারী, পুকুরসহ বিভিন্ন জমিজমা দখলের পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply