ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে-বাইরে দেশের একাধিক ঔষধ কোম্পানির এম.আর ও রিপ্রেজেন্টিভদের দৌরাত্ম্যে বিরুক্ত ও আতঙ্কিত রোগী ও তাদের স্বজনরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের প্রবেশ পথের গেইটে পার্কিং করা ঔষধ কোম্পানির একাধিক মোটর সাইকেল।
ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, এম.আর’রা হাতে এন্ড্রয়েড মুঠোফোন, প্যাড ও কলম নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ডাক্তারদের চেম্বারের ভেতরে ও দরজার সামনে।
ডাক্তাররা কোন রোগীকে ঔষধ লিখে দেয়ার সাথে সাথে রোগীদের গিয়ে ধরছে এম.আর’রা। রোগীদের হাত থেকে প্রেসক্রিপশন নিয়ে হাতে থাকা মুঠোফোনে এম.আর’রা তুলছে ছবি।
নিত্য দিন এম.আরদের এই কর্মকান্ডে বিরক্ত ও অতিষ্ঠ রোগী ও তাদের স্বজনরা।
রোগী ও তাদের স্বজনারা আতঙ্কিত ও ভয় পাচ্ছেন এম.আরদের প্ররোচনায় যদি ডাক্তাররা একাধিক ঔষধ কিনা!
বাংলাদেশে শুধু রবিবার ও বুধবার এম.আরদের হাসপাতালে প্রবেশের অনুমতি থাকলেও এখন প্রতিদিনই দেখা যাচ্ছে তাদের।
সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত থাকছে এম.আরদের দৌরাত্ম। দুপুর ২ টার পর দেখা যা আরেক চিত্র। হাসপাতাল সংলগ্ন ডাক্তারদের কোয়ার্টারে গিয়ে ভিড় করছে তারা।
ভুক্তভোগী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন রোগীর স্বজন জানান, ডাক্তার প্রেসক্রিপশন লিখে দেয়ার সাথে সাথে তারা জোর করে টেনে নেয় প্রেসক্রিপশন। ছবি তুলে।
এ সময় হাসপাতালের ভেতরে থাকা একজন এম.আরকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে সাংবাদিক টের পেয়ে দ্রুত হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।
স্থানীয় ও রোগীরা দ্রুত এম.আর ও রিপ্রেজেন্টিভদের হয়রানি থেকে মুক্তি পাওয়ার আকুতি জানান সাংবাদিকদের কাছে।
এ বিষয়ে হাসপাতালের পঃপঃ ডাঃ হাবিবুবর রহমানের কোন বক্তব্য নেয়া যায়নি।
Leave a Reply