ইউক্রেনের একটি পারমাণবিক স্থাপনার বিকিরণ পরিমাপ করতে, পরিদর্শনে গেছেন রাশিয়ান প্রকৌশলীরা। দেশটিতে মস্কোর আক্রমণের সময় দখল করা ওই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল বলে, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
৪ মার্চ রাশিয়ান বাহিনী আক্রমণ করার পর, ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র জাপোরিঝিয়া দখল করে নেয়।
ট্যাঙ্কের বোমা হামলার পর সেখানে আগুন ছড়িয়ে পড়লেও এর চুল্লিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
রাশিয়ার পারমাণবিক কোম্পানি রোসাটমের কর্মকর্তারা শুক্রবার ওই স্থানে পৌঁছেছেন বলে ইউক্রেনের পারমাণবিক সংস্থা এনারগোটম এক টেলিগ্রাম বার্তায় জানিয়েছে।
এনারগোটম জানিয়েছে, রাশিয়ানরা ইউক্রেনের কর্মীদের বলেছে, তারা সেখানে ‘বিকিরণের মাত্রা মূল্যায়ন করতে’ এবং গোলার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত ‘স্থাপনাটি মেরামতে সহায়তা করতে’ এসেছেন।
তবে হামলার সময়, জাতিসঙ্ঘ নিযুক্ত মস্কোর রাষ্ট্রদূত ওই স্থাপনাতে রাশিয়ার গোলাবর্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করেছিলেন।
ইউক্রেনিয়ার কর্মীরা রুশদের সহযোগিতা করতে অস্বীকার জানানোয় রুশরা সরাসরি ওই এলাকায় এসেছিল বলে একটি ইউক্রেনীয় সংস্থা জানিয়েছে।
সংস্থাটি বলেছে, ওই পারমাণবিক স্থাপনাতে আগত একজন রাশিয়ান নিজেকে ওই এলাকার নতুন বেসামরিক ও সামরিক প্রশাসক হিসাবে পরিচয় দেন এবং রোসাটম দ্বারা পরিচালিত স্থাপনাটিকে রাশিয়ান অঞ্চলের অংশ হিসাবে ঘোষণা করেন।
পৃথক এক বিবৃতিতে, রোসাটম রাশিয়ান বিশেষজ্ঞদের প্রেরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে তারা বলেছে যে রাশিয়ান-অধিকৃত চেরনোবিলের মতো জাপোরিঝিয়া অপারেশনটিও ইউক্রেনীয় কর্মীদের দ্বারা পরিচালিত হবে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, রুশ বিশেষজ্ঞরা ইউক্রেনীয় দলকে ‘পরামর্শ’ দিতে সেখানে থাকবেন।
ছয়টি চুল্লির মাধ্যমে, জাপোরিঝিয়া ৪০ লাখ বাড়িতে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দিতে পারে এবং ইউক্রেনের প্রায় এক পঞ্চমাংশ বিদ্যুৎ এখান থেকে উৎপাদিত হয়। জাপোরিঝিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ১৯৮৫ সালে চালু হয়।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply