
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের নাসিরাবাদ-মানিকনগর ও নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের চরমানিকনগর, চরমধুয়া, শান্তিপুর, সোনাবালুয়া সীমানায় মেঘনা নদীতে চলমান অবৈধভাবে বালু মহালের বালু উত্তোলনে গ্রাম ও ফসলি জমির ভাঙ্গনের কবলে থাকা গ্রামবাসী নৌকা যোগে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ড্রেজারে বিরুদ্ধে মহড়া দেয় ও বালু মহাল বন্ধের দাবি করে প্রতিবাদ জানায়।
“হয় মরবো নয়তো মারবো, বালু মহাল বন্ধ করে ছাড়বো,” বলে দেশীয় অস্ত্র হাতে সমস্বরে তাদেরকে স্রোগান দিতে দেখা যায়। এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। নৌকা যোগে গ্রামবাসীদের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আসতে দেখে পালিয়ে যায় ড্রেজারে থাকা শ্রমিকরা। জানা যায়, মুন্সি এন্টার প্রাইজের অধিনে ব্রাহ্মণবাড়িযা জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি শোভন টেন্ডার পেলেও তার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বছর খানেক হলো। তবু থামছে না তাদের বালু উত্তোলন।
গ্রামবাসীরা অভিযোগ করছেন, প্রথম সারির জাতীয় দৈনিক পত্রিকার স্থানিয় প্রতিনিধি ও এলাকার প্রভাবশালীরা বালু মহালের সাথে জড়িত। বারবার বাঁধা দিয়েও মিলছে না কোন প্রতিকার। এদিকে ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন কৃষক ও জেলে পরিবারগুলো।
এদিকে বড় ধরনের হামলা ও সংঘাত এড়াতে স্থানিয় প্রশাসনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। মেঘনার দুই তীরে হাজারেরও অধিক সাধারণ মানুষের উপচে পড়া ভিড় জমেছে।
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিব চৌধুরী বলেন, স্থানিয় প্রশাসনের উদ্যোগে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানানো হবে।
Leave a Reply