1. sm.khakon@gmail.com : bkantho :
আওয়ামীলীগ এখন কারাগারেই নিরাপদ - বাংলা কণ্ঠ নিউজ
সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩২ অপরাহ্ন

আওয়ামীলীগ এখন কারাগারেই নিরাপদ

এম এ মজিদ
  • শনিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৪
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে
আওয়ামীলীগ এখন কারাগারেই নিরাপদ

পরিস্থিতি এমন হবে তা আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা কল্পনাও করেনি। কল্পনা করার কথাও না। ১৫ বছরে উন্নয়ন তো আওয়ামীলীগ কম করেনি। ঋণ করে হলেও দৃশ্যমান কিছু উন্নয়ন হয়েছে বাংলাদেশে। মেট্টোরেল, পদ্মা সেতু, উড়াল সেতু, পাতাল সড়ক, আঞ্চলিক মহাসড়ক ইত্যাদি।

উন্নয়নে যে মানুষের পেট ভরে না তা বুঝতে বেশি সময় লাগার কথা নয়। কিন্তু আওয়ামীলীগ বেশি সময় নিয়েও বুঝতে পারেনি। ৫ আগষ্ট থেকে যে দৃশ্য খুব নাড়া দিচ্ছে তা হলো মানুষের ক্ষোভ যেন কিছুতেই কমছে না। ভবিষ্যতে কি হবে তাও চিন্তা করছে না।

পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক হয়েছেন শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা সালফান এফ রহমান, যার বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে, অন্যের স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে, সাবেক আইন আনিসুল হক, যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি আদালতকে কুক্ষিগত করার ও নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ রয়েছে, সাবেক আইসিটি মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, যার বিরুদ্ধে অপ্রয়োজনীয়ভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর অভিযোগ রয়েছে, সাবেক মেজর জেনারেল জিয়াউল হাসান, যার বিরুদ্ধে আয়নাঘর নামক কবরে

জীবন্ত মানুষকে বন্দী করে রাখার অভিযোগ রয়েছে, সাবেক শিক্ষা, বিদেশ, সমাজকল্যান মন্ত্রী দিপু মনি, যার বিরুদ্ধে নিজের ভাই ভাতিজাকে হাজার কোটি টাকার বানিজ্য সুযোগ দিতে মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় তুলনামুলক উচু জায়গায় নির্মাণ না করে জলাশয়ে নির্মানের অভিযোগসহ ভিসি, অধ্যক্ষ নিয়োগে কোটি কোটি টাকা আত্বসাতের অভিযোগ রয়েছে, সাবেক মন্ত্রী এবি তাজুল ইসলাম, যার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মনবাড়িয়ায় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীকে বাড়িতে ঘুমাতে না দেয়ার অভিযোগ রয়েছে, সাবেক এমপি বদি, যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মাদক ব্যবসার একক অধিপতি হওয়ার অভিযোগ রয়েছে, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, যাকে দেখলেই একজন অভদ্র, গুন্ডা মনে হয়, তাদের প্রত্যেককে আদালতে কড়া নিরাপত্তায় নিয়ে যাওয়ার সময় জুতা পেটা করতে দেখা গেছে, ডিম ছুড়ে মারতে দেখা গেছে, কিল ঘুষি মারতে অনেককে এগিয়ে যেতে দেখা গেছে, দিপু মনির কাপড় চুপড় টেনে নিতে দেখা গেছে। একেকজন ধরার পড়ার দৃশ্য দেখলে বুঝা যায় তারা আইন তৈরী করলেও, বিদ্যমান আইনে বিচার করলেও তারা নিজেদের আইনই মানেননা।

দরবেশ হিসাবে খ্যাত সালমান এফ রহমান লম্বা সাদা দাড়ি কামিয়েছেন, তার হাত কাপেনি, বুক ধরধর করেনি, বিচারপতি মানিক জঙ্গলে কলাপাতার উপরে ঘুমিয়ে এপাশ ওপাশ করে অনেকটা বিবস্ত্র বা কাদা মিশ্রিত পোষাকে না খেয়ে কাটিয়েছেন দিনরাত। বিষয়গুলো বিভৎস, ভয়ংকর, কুৎসিত হলেও মেনে নিতে হচ্ছে। কারণ তারা জানে তাদের অপরাধের বিচারের মুখোমুখি হলে তারা নিজেরাই ফেসে যাবে। আমরা যারা সরাসরি রাজনীতি না করলেও রাজনীতিকে ভালোবাসি, রাজনৈতিক নেতাকর্মীদেরকে ভালোবাসি, তাদেরকে এসব দৃশ্য খুব পিড়া দেয়।

আমরা অন্তত এটা বলতে পারি গত ১৫ বছরে আওয়ামীলীগ যেভাবে জেলের ভেতরে মানুষকে হত্যা করেছে, (জামায়াতের আমির অভিযোগ করেছেন তাদের ৫ শীর্ষ নেতাকে জেলের ভেতরে হত্যা করা হয়েছে, বজলুল হুদার পরিবার বলছে বজলুল হুদাকে কারাগারের ভেতরে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে), জেলের ভেতরে চিহ্নিত সন্ত্রাসী দিয়ে রাজনৈতিক নেতাদেরকে হত্যার চেষ্টা করেছে, ( বিএনপি নেতা আলহাজ্জ জিকে গউছকে কারাগারের ভেতরে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করা হয়, পরে সন্ত্রাসীকে কারাগার থেকে জামিনে বের করে এনে শতশত মোটর সাইকেল সহকারে রাজকীয় সংবর্ধণা দেয়া হয়), এমন ঘটনা অন্তবর্তীকালীণ সরকারের আমলে হবে না। আওমামীলীগ নেতাদেরকে নদী থেকে, বন জঙ্গল থেকে, খাল বিল থেকে, বিমান বন্দর, স্থল বন্দর থেকে ধরে আনা হচ্ছে। তাদের উচিৎ স্বেচ্ছায় প্রশাসনের কাছে আত্বসমর্পন করা।

তাহলে আর যাই হোক অত্যান্ত দৃষ্টিকটু বা অমানবিকতা থেকে তারা রেহাই পাবে। তাদের উচিৎ বিচারের মুখোমুখি হওয়া। তাদের উচিৎ তাদের গড়া বিচার ব্যবস্থায় পূর্ণ আস্থা রাখা, ১৫ বছরে তাদের নিয়োগকৃত পুলিশই এখনো মাঠে আছে, তাদের প্রতি বিশ্বাস রাখা। কারাগারই হতে পারে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের নিরাপদ স্থান।

এম এ মজিদ,
আইনজীবী ও সংবাদকর্মী
হবিগঞ্জ ২৪ আগষ্ট ২০২৪
০১৭১১-৭৮২২৩২

 

 

 

সামাজিক মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর
Developer By Zorex Zira

Designed by: Sylhet Host BD