ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের নবীনগর পশ্চিম ইউপির মেঘনা নদীর ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত চর লাপাং, দড়ি লাপাং ও চিত্রী গ্রামে সরে জমিনে গিয়ে পরিদর্শন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ফারুক আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তানভীর ফরহাদ শামীম, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান মো. মেহেদী হাসান, স্থানিয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুর আজ্জমসহ অন্যান্যরা।
এ সময় নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ত্রাণ ও অস্থায়ী বাসস্থানের পাশাপাশি স্থায়ীভাবে নদী ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন তারা। মেঘনা নদীর ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত রফিয়া বেগম (৬০) জানান, ঘুমের মইধ্যা ঘর ভাইঙ্গা গেছে গা পানিত! অহন আমরা কই গিয়া থাহুম!
কমলা বেগম বলেন, রাইতে ঘুমাইলে ডর লাগে। কুন সম জানি ভাইঙ্গা লইয়া ফরে। ইদ্রিস মিয়া বলেন, প্রত্যেক বছর ভাঙ্গে, এই পর্যন্ত ৬ বার জাগা পালডাইছি।
উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ফারুক আহমেদ বলেন, জনাব ফয়জুর রহমান বাদল এমপি সাহেবের নির্দেশনায় আমরা দ্রুততার সাথে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। তাদের জন্য ত্রাণসহ বাস স্থানের ব্যবস্থার জন্য আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তানভীর ফরহাদ শামীম বলেন, স্থায়ীভাবে ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেছি। বর্তমানে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন উনাদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।
উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান মো. মেহেদী হাসান বলেন, সরে জমিনে এসে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোর খুঁজ-খবর নিয়েছি, ভাঙ্গন রোধে ইতিমধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুটি মসজিদসহ মেঘনা নদীতে বিলিন হয়ে গেছে শতাধিক ঘর-বাড়ী, খামার ও ফসলি জমি। অসহায় ভুক্তভোগীদের নিদারুণ কষ্টের চাহনি যেনো নদীর দিকে। দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ না হলে মেঘনা নদীতে বিলিন হয়ে যাবে এ গ্রামগুলো।
Leave a Reply